০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

যশোরে পুকুর থেকে মাদরাসাছাত্রের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

যশোর সদর উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর তানভির হাসান নিশান (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্রের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বাড়ির পাশের এক পুকুর থেকে গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর দুটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তানভির হাসান নিশান সদর উপজেলার রামনগরের ভাটপাড়া এলাকার খাইরুল বাশারে ছেলে। সে ভাটপাড়া আলিয়া মাদরাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহতের বাবা খাইরুল বাশার বলেন, আমার ছেলে তানভির রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ির পাশের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। পরে অনেক খোঁজাখুঁজ করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি রবিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে তানভিরের মোবাইল ফোন থেকে কল করে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোনটি কেটে দেয়। পরে আর মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। সোমবার দুপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তি পুকুরে নামলে পায়ের সঙ্গে কিছু একটা ধাক্কা লাগলে সন্দেহ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুর থেকে চাপা দেওয়া অবস্থায় নিশানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আমার ছেলের হাত-পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল এবং মরদেহ পাথর দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল। আমার মনে হয় মুক্তিপণ না পেয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যশোরে পুকুর থেকে মাদরাসাছাত্রের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৩:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

যশোর সদর উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর তানভির হাসান নিশান (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্রের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বাড়ির পাশের এক পুকুর থেকে গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর দুটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তানভির হাসান নিশান সদর উপজেলার রামনগরের ভাটপাড়া এলাকার খাইরুল বাশারে ছেলে। সে ভাটপাড়া আলিয়া মাদরাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহতের বাবা খাইরুল বাশার বলেন, আমার ছেলে তানভির রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ির পাশের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। পরে অনেক খোঁজাখুঁজ করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি রবিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে তানভিরের মোবাইল ফোন থেকে কল করে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোনটি কেটে দেয়। পরে আর মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। সোমবার দুপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তি পুকুরে নামলে পায়ের সঙ্গে কিছু একটা ধাক্কা লাগলে সন্দেহ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুর থেকে চাপা দেওয়া অবস্থায় নিশানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আমার ছেলের হাত-পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল এবং মরদেহ পাথর দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল। আমার মনে হয় মুক্তিপণ না পেয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।