চট্টগ্রামে কেএনএফের আরও ১১ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ

- আপডেট সময় ০৭:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রতি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের কার্যকলাপ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার চট্টগ্রামে একটি বড় ধরনের ইউনিফর্ম জব্দের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়াহাট এলাকার একটি গুদাম থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি সন্দেহজনক পোশাক বা ইউনিফর্ম জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, এই পোশাকগুলো পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের ইউনিফর্ম। তবে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় নগর পুলিশের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
গত ১৭ মে রাতে, একই এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস থেকে ২০ হাজার ৩০০টি সন্দেহজনক পোশাক (ইউনিফর্ম) জব্দ করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ।
সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছিল যে, ইউনিফর্মগুলো কেএনএফের জন্য দুই কোটি টাকার চুক্তিতে প্রস্তুত করা হচ্ছিল।
ওই ঘটনায় পোশাক কারখানাটির মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা হলেন সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম এবং নিয়াজ হায়দার। মামলায় রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের মংহলাসিন মারমা নামের আরও এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, গত মার্চ মাসে গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার মংহলাসিন মারমা ওরফে মং নামের একজনের কাছ থেকে এই পোশাকগুলো তৈরির ফরমাশ পেয়েছিলেন এবং চলতি মাসেই সেগুলো সরবরাহের কথা ছিল।
ফেসবুক পেজ খুলে প্রায় দুই-তিন বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। তারা পাহাড়ের দুই জেলার ৯টি উপজেলা নিয়ে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে তারা ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগেও জড়িয়ে পড়ে, যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের কয়েকবার সশস্ত্র সংঘাত হয়েছে।
সম্প্রতি বান্দরবানের দুই উপজেলায় ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ব্যাংকের তিনটি শাখায় ডাকাতির ঘটনায় এই সংগঠনটি আবারও আলোচনায় আসে। এই ঘটনাগুলো সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।