জুবাইদার বাসায় নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক নিরাপত্তা

- আপডেট সময় ০৩:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / ২৭২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন। আগামী মঙ্গলবার সকালে সবকিছু ঠিক থাকলে শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। দলীয় সূত্র জানিয়েছে দেশে ফিরে ধানমন্ডিতে নিজের বাবার বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ উঠবেন তিনি।
জানানো হয়েছে, ওই বাসায় জুবাইদা রহমানের আগমনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ঘরের ভেতরে-বাইরে করা হচ্ছে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা, বসানো হয়েছে সিসিটিভি, নিশ্চিত করা হচ্ছে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, এমনকি বিকল্প বিদ্যুৎ-সরবরাহের জন্য জেনারেটরও।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বাড়ির চারপাশে। দায়িত্বে থাকবেন সিএসএফ সদস্যরা, সঙ্গে থাকবেন পুলিশ সদস্যরাও।
তিনি আরও জানান, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে যেন এলাকাবাসীর কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার কথায়, নিরাপত্তার নামে মানুষকে বিরক্ত করা যাবে না—এটা স্পষ্ট নির্দেশ। জুবাইদা রহমানের যাতায়াত ও নিরাপত্তার জন্য পৃথক যানবাহনের ব্যবস্থা ও করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার গত ৩০ মে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি দিয়ে জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। সেই চিঠিতে গানম্যান, পুলিশ প্রটেকশন, বাসায় আর্চওয়ে ও পুলিশ পাহারার দাবি জানানো হয়। এর পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা মাহবুব ভবন পরিদর্শন করে নিরাপত্তাব্যবস্থার খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করেন।
এখন ওই ভবনে বসবাস করছেন জুবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামান ও তার পরিবার। জানা গেছে, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জুবাইদা রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ছেড়েছিলেন। একই
বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাফরুল থানায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে।
ঢাকার একটি আদালত জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার সেই সাজা স্থগিত করা হয়।