স্বপ্নভঙ্গ যুক্তরাষ্ট্রের: ওয়ানডে স্ট্যাটাস ছিনিয়ে নিল আমিরাত

- আপডেট সময় ০৪:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- / ২৬৭ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব নারী ক্রিকেটে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো! সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেয়েরা প্রথমবারের মতো অর্জন করলো আইসিসির ওয়ানডে স্ট্যাটাস। ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের চক্রে বিশ্ব ক্রিকেটের এই মর্যাদাপূর্ণ আসনে বসলো মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। আর তাদের এই ঐতিহাসিক উত্থানে কপাল পুড়লো উত্তর আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র নারী ক্রিকেট দলের।
মূলত মাঠের পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করে দিয়েছে এই সাফল্যের ভাগীদার। আইসিসির সদ্য ঘোষিত নতুন চক্রে যে ১৬টি নারী দলকে ওয়ানডে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সহযোগী দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে পাঁচটি দল। থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ গিনি (পিএনজি), স্কটল্যান্ডের সাথে নতুন সংযোজন হিসেবে যুক্ত হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক ও শক্তিশালী পারফরম্যান্সই তাদের এনে দিয়েছে এই অভাবনীয় স্বীকৃতি।
আইসিসির বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার সুবাদে তাদের ওয়ানডে মর্যাদা ধরে রেখেছে। পাপুয়া নিউ গিনি ও নেদারল্যান্ডস এই মর্যাদা পেয়েছে তাদের টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে। আর সংযুক্ত আরব আমিরাত? তারা নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বার্ষিক হালনাগাদকৃত র্যাংকিংয়ে এই দলগুলোর পরেই অবস্থান করছিল, যা তাদের ওয়ানডে স্ট্যাটাস অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সাধারণত ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেতে একটি দলকে তিন-চার বছরের মধ্যে ন্যূনতম আটটি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি র্যাংকিংয়ে উন্নতি করতে হয়।
এই মর্যাদা অর্জনের পেছনে লুকিয়ে আছে বছরের পর বছরের কঠোর পরিশ্রম, সীমিত সুযোগেও অদম্য মনোবল নিয়ে এগিয়ে চলা একদল মেয়ের ক্রিকেট ভালোবাসার গল্প। বুকভরা সাহস আর প্যাশনের ফলস্বরূপই এলো এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তাইতো এই অর্জনের পর উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি ইউএই ক্রিকেট বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান খালিদ আল জারুনি।
এক আবেগপূর্ণ বিবৃতিতে খালিদ আল জারুনি বলেন, “এই অর্জন আমাদের নারী ক্রিকেটের জন্য এক বিশাল মাইলফলক। আমি অধিনায়ক ঈশা ওজা, পুরো দল, কোচিং স্টাফসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা যেভাবে নিজেদের প্রমাণ করেছে, তা আমাদের গর্বিত করেছে। আমাদের নারীদের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে লড়াই করার পথ এখন আরও প্রশস্ত হলো।”
দলের অধিনায়ক ঈশা ওজার কণ্ঠেও ছিল আবেগের ঢেউ। তিনি বলেন, “আমরা যেখানে ছিলাম, আজ সেখানে নেই। অনেকটা উন্নতি হয়েছে, অনেকটা পথ আমরা পেরিয়ে এসেছি। তবে এই পথচলাটা মোটেও সহজ ছিল না।”
অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই সাফল্যে চাপা পড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের নারী ক্রিকেট দলের আক্ষেপ। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার দৌড়ে তারাও ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে পারফরম্যান্সের বিচারে পিছিয়ে যাওয়ায় তাদের স্বপ্নভঙ্গ হলো।