ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ভারত থেকে চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৩:০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত থেকে সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সরকার জিটুজি পদ্ধতিতে ভারত থেকে সুলভ মূল্যে নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় গত জানুয়ারি ও ১৮ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই দফা চিঠি দিয়েছে। তবে এখনো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়নি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানি নিশ্চিত করতে এমওইউ গুরুত্বপূর্ণ। এতে পরিবহন খরচ কম হবে এবং চালের সরবরাহে নিশ্চয়তা থাকবে।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানির জন্য এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। ভারত বিশ্বের অন্যতম চাল রপ্তানিকারক দেশ।

তবে আন্তর্জাতিক দরপত্রে চাল আমদানি জটিল ও অনিশ্চিত। এমওইউ থাকলে জিটুজি পদ্ধতিতে দ্রুত ও কম খরচে চাল আমদানি সম্ভব হবে।

২০২২ সালে বাংলাদেশ ভারতের কাছে চাল, গম, পেঁয়াজসহ ছয়টি নিত্যপণ্যের বার্ষিক কোটা চেয়েছিল। ভারত প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভারত যদি কোটা দিত, তাহলে রপ্তানি বন্ধের সময়ও বাংলাদেশ নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পেত।

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারত বাংলাদেশের কিছু সুবিধা বাতিল করেছে, যেমন ট্রান্সশিপমেন্ট। তবে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এই এমওইউ স্বাক্ষর জরুরি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত থেকে চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৩:০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত থেকে সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সরকার জিটুজি পদ্ধতিতে ভারত থেকে সুলভ মূল্যে নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় গত জানুয়ারি ও ১৮ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই দফা চিঠি দিয়েছে। তবে এখনো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়নি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানি নিশ্চিত করতে এমওইউ গুরুত্বপূর্ণ। এতে পরিবহন খরচ কম হবে এবং চালের সরবরাহে নিশ্চয়তা থাকবে।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানির জন্য এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। ভারত বিশ্বের অন্যতম চাল রপ্তানিকারক দেশ।

তবে আন্তর্জাতিক দরপত্রে চাল আমদানি জটিল ও অনিশ্চিত। এমওইউ থাকলে জিটুজি পদ্ধতিতে দ্রুত ও কম খরচে চাল আমদানি সম্ভব হবে।

২০২২ সালে বাংলাদেশ ভারতের কাছে চাল, গম, পেঁয়াজসহ ছয়টি নিত্যপণ্যের বার্ষিক কোটা চেয়েছিল। ভারত প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভারত যদি কোটা দিত, তাহলে রপ্তানি বন্ধের সময়ও বাংলাদেশ নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পেত।

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারত বাংলাদেশের কিছু সুবিধা বাতিল করেছে, যেমন ট্রান্সশিপমেন্ট। তবে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এই এমওইউ স্বাক্ষর জরুরি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।