ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

সকালে পরীক্ষা, রাতেই ফল: ডিআইএ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু!

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০১:০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বরাবরই নানা প্রশ্ন ওঠে। কখনো নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, কখনো প্রশ্নপত্র ফাঁস, আবার কখনো স্বচ্ছতার অভাব।

এবার আলোচনায় এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সংক্ষেপে ডিআইএ’র নিয়োগ প্রক্রিয়া।

এই নিয়োগে যে ভয়াবহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভাবুন তো, সকালে পরীক্ষা দিলেন, আর রাতে তার ফল প্রকাশিত হয়ে গেল! অবিশ্বাস্য শোনালেও, ডিআইএ’র নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটিই ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, যার শিরোনাম ছিল, “সকালে পরীক্ষা, রাতেই ফল”।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের চারটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৩ হাজার ১০৫ জন চাকরিপ্রার্থী অংশ নেন। আর আশ্চর্যের বিষয় হলো, সকালেই পরীক্ষা নিয়ে রাতে প্রকাশ করা হয়েছে লিখিত পরীক্ষার ফল!

এমন দ্রুত গতিতে ফল প্রকাশ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ উঠেছে, যেহেতু ডিআইএ কর্তৃপক্ষ নিজেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং খাতা মূল্যায়নের ব্যবস্থাপনায় ছিল, তাই এই নিয়োগ কার্যক্রমে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে।

সাধারণত, এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর খাতা মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করতে বেশ কয়েকদিন, এমনকি সপ্তাহখানেকও লেগে যায়। সেখানে এক রাতেই ফল প্রকাশ হওয়াটা তাই প্রশ্নবিদ্ধ। এর পেছনে কোনো প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কিনা, বা কোনো আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা – এমন নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

এই গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৭ই জুন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ জারি করা হয়েছে। এই আদেশপত্রে স্বাক্ষর করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখা) জাবের মো. সোয়াইব।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন শাখার যুগ্ম সচিব বরাদ হোসেন চৌধুরীকে। অন্য দুই সদস্য হলেন—বেসরকারি কলেজ শাখার উপসচিব আ. কুদ্দুস এবং সিনিয়র সহকারী সচিব জাবের মো. সোয়াইব। এই কমিটিকে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি মতামতসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সকালে পরীক্ষা, রাতেই ফল: ডিআইএ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু!

আপডেট সময় ০১:০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বরাবরই নানা প্রশ্ন ওঠে। কখনো নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, কখনো প্রশ্নপত্র ফাঁস, আবার কখনো স্বচ্ছতার অভাব।

এবার আলোচনায় এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সংক্ষেপে ডিআইএ’র নিয়োগ প্রক্রিয়া।

এই নিয়োগে যে ভয়াবহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভাবুন তো, সকালে পরীক্ষা দিলেন, আর রাতে তার ফল প্রকাশিত হয়ে গেল! অবিশ্বাস্য শোনালেও, ডিআইএ’র নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটিই ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, যার শিরোনাম ছিল, “সকালে পরীক্ষা, রাতেই ফল”।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের চারটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৩ হাজার ১০৫ জন চাকরিপ্রার্থী অংশ নেন। আর আশ্চর্যের বিষয় হলো, সকালেই পরীক্ষা নিয়ে রাতে প্রকাশ করা হয়েছে লিখিত পরীক্ষার ফল!

এমন দ্রুত গতিতে ফল প্রকাশ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ উঠেছে, যেহেতু ডিআইএ কর্তৃপক্ষ নিজেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং খাতা মূল্যায়নের ব্যবস্থাপনায় ছিল, তাই এই নিয়োগ কার্যক্রমে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে।

সাধারণত, এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর খাতা মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করতে বেশ কয়েকদিন, এমনকি সপ্তাহখানেকও লেগে যায়। সেখানে এক রাতেই ফল প্রকাশ হওয়াটা তাই প্রশ্নবিদ্ধ। এর পেছনে কোনো প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কিনা, বা কোনো আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা – এমন নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

এই গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৭ই জুন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ জারি করা হয়েছে। এই আদেশপত্রে স্বাক্ষর করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখা) জাবের মো. সোয়াইব।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন শাখার যুগ্ম সচিব বরাদ হোসেন চৌধুরীকে। অন্য দুই সদস্য হলেন—বেসরকারি কলেজ শাখার উপসচিব আ. কুদ্দুস এবং সিনিয়র সহকারী সচিব জাবের মো. সোয়াইব। এই কমিটিকে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি মতামতসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।