ইসরাইলের আশ্রয়কেন্দ্রে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে বাধা

- আপডেট সময় ১২:৪৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
- / ২৫২ বার পড়া হয়েছে
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় যখন সাইরেন বেজে ওঠে, তখন ইসরায়েলের এক শহরতলিতে পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে দৌড়াচ্ছিলেন সামার আল-রাশেদ।
২৯ বছরের এই ফিলিস্তিনি নারী থাকেন একটি জিউডি-প্রধান অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে। সাইরেন শুনেই মেয়েকে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন ভবনের নিচে আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু দরজার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এক ইসরায়েলি বাসিন্দা।
সামার বলেন, “আমি আরবিতে মেয়েকে শান্ত করছিলাম। ওই লোকটা শুনে ফেলেছিল। এরপর সে দরজাটা আমার মুখের ওপর বন্ধ করে দেয়। বলে—‘এটা আপনার জন্য নয়।’”
একটা মুহূর্তের ভেতর, তার জন্য বদলে যায় পুরো বাস্তবতা। মিসাইল থেকে বাঁচার আশ্রয়খানাও হয়ে ওঠে বিভাজনের প্রতীক।
সামার বলেন, “আমি হিব্রু ভাষায় কথা বলি। তাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, এটা আমার জায়গা না।”
অবাক ও হতাশ সামার মেয়েকে নিয়ে ফিরে যান নিজেদের ফ্ল্যাটে। ওপরে উঠতে উঠতে আকাশে দেখতে পান আলোর ঝলকানি—একটার পর একটা মিসাইল ছুটে চলেছে, বিস্ফোরিত হচ্ছে মাঝ আকাশে।
তার চোখে তখন শুধু ভয় নয়—অন্তরের গভীরে দগদগে একটা প্রশ্ন: “এই সমাজে আমি কি মানুষ হিসেবেও গণ্য?”
এটা সামারের একার ঘটনা নয়। ইসরায়েলজুড়ে যখন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো মানুষে উপচে পড়ছে, তখন পুরনো ভবনের বাসিন্দারা বাধ্য হচ্ছেন সিঁড়িঘরে রাত কাটাতে।
তেল আবিব, পশ্চিম জেরুজালেম—সবখানেই আতঙ্কে মানুষ ঠাঁই নিচ্ছে যেভাবে পারে।
৭৪ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সমাজকর্মী ইয়াকোভ শেমেশ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী এখন সিঁড়িঘরেই ঘুমান। তিনি বলেন, “রোববার রাতে আমি ছাদে গিয়ে দেখি, আকাশজুড়ে বিস্ফোরণ। কিন্তু মিডিয়া কিছু বলছে না। সরকার হয়তো চায় না আমরা জানি, কতটা কাছে এসেছিল।”