ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

কমলনগরে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণ চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে একই পরিবারের সবাইকে অচেতন করে ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তারেক রহমান রকি রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২৪ মে) রাতে চরমার্টিন ইউনিয়নের শাহাব উদ্দিন বাজারের পূর্ব পাশে নুরনবীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন গৃহকর্তা নুরনবী (৫৫), তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৬), ছেলে সৌদি প্রবাসী সুজন হোসেন (২৬), পুত্রবধূ সুমাইয়া আক্তার (২০) ও ছোট ছেলে ইমন হোসেন (১৪)। তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অসুস্থ নুরনবীর মেয়ে মেরিনা আক্তার বলেন, আমি শনিবার সকালে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসি। দুপুরে এক বৃদ্ধও বাড়িতে আসে। দেখতে পাগলের মতো। তিনি খাবার চাইলে দেওয়া হয়। অসুস্থ হওয়ায় তাকে নিয়ে কোনো সন্দেহ করা হয়নি। সন্ধ্যার পরে সবাই খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে ওই বৃদ্ধ কোনোভাবে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রেখেছে।

নুরনবীর আরেক মেয়ে নুরনাহার বেগম বলেন, রাতে খবর পেয়ে বাবার বাড়িতে এসেছি। অচেতন অবস্থায় বাবা-মা, দুই ভাই ও ভাবিকে হাসপাতালে পাঠাই। মেরিনা অসুস্থ অবস্থায় আমাদের সঙ্গে বাড়িতে ছিল। রাতে শব্দ শুনে ঘুম ভাঙলে দেখি অচেনা একজন বাসার ভেতর তালা ভাঙার চেষ্টা করছেন। তখন চিৎকার দিলে তিনি পালিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, তারা সংঘবদ্ধ কয়েকজন ছিলেন। তারা বাসায় আলমিরাতে থাকা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা, ছয়টি মোবাইল ফোন ও প্রায় ছয় ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান।

নুরনবীর ভাতিজা জাবেদ হোসেন বলেন, চিৎকার শুনে ঘুম উঠে দেখি বাসার সব দরজা খোলা। বাসার বারান্দার রড কেটে ঘরে ঢুকে সব নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তারেক রহমান রকি বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ এখনও অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কমলনগরে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণ চুরি

আপডেট সময় ০৬:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে একই পরিবারের সবাইকে অচেতন করে ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তারেক রহমান রকি রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২৪ মে) রাতে চরমার্টিন ইউনিয়নের শাহাব উদ্দিন বাজারের পূর্ব পাশে নুরনবীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন গৃহকর্তা নুরনবী (৫৫), তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৬), ছেলে সৌদি প্রবাসী সুজন হোসেন (২৬), পুত্রবধূ সুমাইয়া আক্তার (২০) ও ছোট ছেলে ইমন হোসেন (১৪)। তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অসুস্থ নুরনবীর মেয়ে মেরিনা আক্তার বলেন, আমি শনিবার সকালে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসি। দুপুরে এক বৃদ্ধও বাড়িতে আসে। দেখতে পাগলের মতো। তিনি খাবার চাইলে দেওয়া হয়। অসুস্থ হওয়ায় তাকে নিয়ে কোনো সন্দেহ করা হয়নি। সন্ধ্যার পরে সবাই খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে ওই বৃদ্ধ কোনোভাবে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রেখেছে।

নুরনবীর আরেক মেয়ে নুরনাহার বেগম বলেন, রাতে খবর পেয়ে বাবার বাড়িতে এসেছি। অচেতন অবস্থায় বাবা-মা, দুই ভাই ও ভাবিকে হাসপাতালে পাঠাই। মেরিনা অসুস্থ অবস্থায় আমাদের সঙ্গে বাড়িতে ছিল। রাতে শব্দ শুনে ঘুম ভাঙলে দেখি অচেনা একজন বাসার ভেতর তালা ভাঙার চেষ্টা করছেন। তখন চিৎকার দিলে তিনি পালিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, তারা সংঘবদ্ধ কয়েকজন ছিলেন। তারা বাসায় আলমিরাতে থাকা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা, ছয়টি মোবাইল ফোন ও প্রায় ছয় ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান।

নুরনবীর ভাতিজা জাবেদ হোসেন বলেন, চিৎকার শুনে ঘুম উঠে দেখি বাসার সব দরজা খোলা। বাসার বারান্দার রড কেটে ঘরে ঢুকে সব নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তারেক রহমান রকি বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ এখনও অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।