বিসিবির সভাপতি বদলের জোর গুঞ্জন চলছে

- আপডেট সময় ০১:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / ২৫১ বার পড়া হয়েছে
গেল বছরের পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তন আসে ক্রিকেটাঙ্গনেও। সাবেকক ক্রিকেট তারকা ফারুক আহমেদ নাজমুল হাসান পাপনের জায়গায় নতুন করে সভাপতির চেয়ারে বসেন। তবে দায়িত্ব গ্রহণের নয় মাস যেতেই গুঞ্জন উঠেছে নতুন করে আবারও সভাপতি পদ নিয়ে।
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বুধবার (২৮ মে) বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে ফারুকের প্রতি সরকারের নেতিবাচক মনোভাবই বেশি প্রকাশ হয়েছে বলে ক্রিকেটাঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে। আর এসবের প্রেক্ষিতেই আবার দেশের ক্রিকেটের শীর্ষপদে পালাবদলের সুর।
নতুন খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবি সভাপতি হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য অবশ্য বেশকিছু ধাপ পেরুতে হবে তাকে। প্রাথমিকভাবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে কাউন্সিলর হতে হবে বুলবুলকে। কাউন্সিলর হওয়ার পর আবার পরিচালক মনোনীত হবে। এরপর পরিচালকদের মধ্যে থেকে সভাপতি নির্বাচিত হবে।
উল্লেখ্য, আইসিসিতে চাকরি করায় আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবির নির্বাচনে কখনোই সম্পৃক্ত ছিলেন না। ফলে তাকে বিসিবিতে আনতে হলে কাউন্সিলর পরিচালক সবই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে করতে হবে। ফারুক জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে কাউন্সিলর থাকলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাকে পরিচালক মনোনীত করেছে। এরপর পরিচালকরা সভাপতি নির্বাচিত করেছে।
এটা সরকারের হস্তক্ষেপ হলেও বিসিবির গঠনতন্ত্রে অনুমোদিত এবং সেটা আইসিসি থেকেও স্বীকৃত এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সেই অর্থে তেমন সুযোগ নেই।
তবে নতুন একটি আলোচনা হতে পারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এক মেয়াদে কতবার পরিচালক পরিবর্তন করতে পারে। ফারুকের পরিবর্তে বুলবুল আসলে সেক্ষেত্রে হবে তৃতীয় প্রয়োগ। প্রথমে সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস ছিলেন এনএসসি পরিচালক এরপর হলেন ফারুক ও ফাহিম। এখন ফারুকের বদলে বুলবুল আসলে তৃতীয় রদবদল এই কোটায়। গঠনতন্ত্রে অবশ্য এ নিয়ে সুস্পষ্ট কিছু নেই।
আগামী ৩১ মে শনিবার বিসিবির বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেখানে সভাপতি ইস্যুতে বিস্তারিত আভাস মিলতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশেই রয়েছেন বুলবুল। পারিবারিক জমিসংক্রান্ত এক কাজে দিন কয়েক আগেই ঢাকা আসেন তিনি। কাজ শেষ করে আগামী দুই জুন দেশ ছাড়বেন বুলবুল এমনটি জানা গিয়েছে।