গত ১০ জুন অকালমৃত্যু ঘটে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহর। ঢালিউডের এই অভিনেত্রীর মৃত্যু যেন এক কালো ছায়া ফেলেছে। কিন্তু তার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা একটি পুরনো স্ট্যাটাস জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের।

সেই স্ট্যাটাসে তানিন তাবিজ-কুফরির প্রতি তার বিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন।

মৃত্যুর কিছুদিন আগে, ১৯ মে তারিখে তানিন ফেসবুকে লেখেন, কোনোদিন তিনি তাবিজ বা কালো জাদু বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এর শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন।

তিনি লেখেন, একটি সুস্থ মানুষকে এভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করে কী লাভ? ঘরে আনাচে-কানাচে তিনি নাকি অনেক সন্দেহজনক জিনিসও খুঁজে পেয়েছিলেন। গত চার মাস ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং মনে করতেন কেউ তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

এর কিছুদিন পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তানিন এবং ২ জুন তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জুন সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তানিনের এই রহস্যময় মৃত্যুর পর যখন তার পুরনো স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক তখনই আরেক চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত কালো জাদু নিয়ে একই ধরনের ভয়াবহ অভিযোগ তুলেছেন।

গত ১১ জুন মিষ্টি জান্নাত তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ২০১৭ সালে তাকে কালো জাদু করা হয়েছিল। তিনি এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানেন।

মিষ্টি জানান, সেই সময় তিনি কলকাতার একটি হাসপাতালে টানা ২২ দিন আইসিইউতে ছিলেন। তার সারা শরীরে পানি জমে গিয়েছিল। সেই সময় তার ক্যারিয়ার তুঙ্গে ছিল এবং একের পর এক সিনেমায় কাজ করছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে তিনি কাজ কমিয়ে দেন।

মিষ্টি জান্নাত আরও লেখেন, তাকে বহুবার হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যখনই তিনি ভালো কিছু করতে যান, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী তার পেছনে লেগে থাকে এবং চায় তিনি যেন মারা যান। বর্তমানে সেই গোষ্ঠী বিভিন্ন লোক দিয়ে বাজে মন্তব্য ও সংবাদ প্রকাশ করিয়ে তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে সুইসাইড করাতে চাইছে।

তবে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, তিনি আত্মহত্যা করার মতো নন। যদি তার কিছু হয়, তাহলে ওই গোষ্ঠীকে দায়ী থাকতে হবে। সবশেষে তিনি ব্র্যাকেটে লেখেন, কারা এর সাথে জড়িত তাদের নাম তার ডায়েরিতে লেখা আছে।

এই দুই অভিনেত্রীর এই ধরনের অভিযোগ ঢালিউডের অন্দরমহলে এক নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যদিও কালো জাদু বা এই ধরনের কুসংস্কারের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, তবুও এই দুই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। তানিন সুবাহর আকস্মিক মৃত্যু এবং মিষ্টি জান্নাতের করা অভিযোগ এখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।