ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্ট হাউসে তল্লাশি! ভিডিও ভাইরাল

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৭:২০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের একটি গেস্ট হাউস। হঠাৎ সেখানে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি—ক্যামেরা হাতে, সাংবাদিক পরিচয়ে। কক্ষে কক্ষে ঘুরে অতিথিদের জেরা, এমনকি দম্পতির কাছে বিয়ের প্রমাণ চাওয়া! আর এই ঘটনাই এখন ভাইরাল।

ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করেন হান্নান রহিম তালুকদার নামের একজন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে পরিচয় দেন চট্টগ্রাম সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও CSTV24-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।

তিনি আরও দাবি করেন, তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে—এই দাবিগুলোর সত্যতা নেই। প্রেসক্লাবও বলছে, তিনি তাঁদের সদস্য নন।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়—তিনি গেস্ট হাউসের গেট খুলে ঢুকে কক্ষ থেকে কক্ষ ঘুরে বেড়ান। অতিথিদের পরিচয় জানতে চান, জিজ্ঞেস করেন—“কার সঙ্গে এসেছেন?”, “আপনারা স্বামী-স্ত্রী কিনা, তার প্রমাণ কী?” এমনকি পরিচয়পত্র দেখতে চান।

এক দম্পতি জানান, তাঁরা চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তবু তাঁদের ঘিরে ধরা হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, রেজিস্টার খাতা যাচাই করা হয়। অন্য এক কক্ষে, এক তরুণ-তরুণীকে জেরা করা হয়—তাঁরা বিবাহিত কিনা, সেটা যাচাইয়ের নামে।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন পরিষ্কার বলেছে—এটা সাংবাদিকতার নামে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এভাবে কারও অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ করা, তল্লাশি চালানো—আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই কাজ বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৪২ ও ৪৪৮ ধারায় অপরাধ। এর সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভঙ্গের কথাও উঠছে।

চান্দগাঁও থানার ওসি জানিয়েছেন—এভাবে তল্লাশি চালানোর কোনো অধিকার সাংবাদিকের নেই। গেস্ট হাউস নিয়ে অভিযোগ থাকলে তদন্ত করবে পুলিশ, সাংবাদিক নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্ট হাউসে তল্লাশি! ভিডিও ভাইরাল

আপডেট সময় ০৭:২০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামের একটি গেস্ট হাউস। হঠাৎ সেখানে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি—ক্যামেরা হাতে, সাংবাদিক পরিচয়ে। কক্ষে কক্ষে ঘুরে অতিথিদের জেরা, এমনকি দম্পতির কাছে বিয়ের প্রমাণ চাওয়া! আর এই ঘটনাই এখন ভাইরাল।

ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করেন হান্নান রহিম তালুকদার নামের একজন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে পরিচয় দেন চট্টগ্রাম সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও CSTV24-এর চেয়ারম্যান হিসেবে।

তিনি আরও দাবি করেন, তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে—এই দাবিগুলোর সত্যতা নেই। প্রেসক্লাবও বলছে, তিনি তাঁদের সদস্য নন।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়—তিনি গেস্ট হাউসের গেট খুলে ঢুকে কক্ষ থেকে কক্ষ ঘুরে বেড়ান। অতিথিদের পরিচয় জানতে চান, জিজ্ঞেস করেন—“কার সঙ্গে এসেছেন?”, “আপনারা স্বামী-স্ত্রী কিনা, তার প্রমাণ কী?” এমনকি পরিচয়পত্র দেখতে চান।

এক দম্পতি জানান, তাঁরা চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তবু তাঁদের ঘিরে ধরা হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, রেজিস্টার খাতা যাচাই করা হয়। অন্য এক কক্ষে, এক তরুণ-তরুণীকে জেরা করা হয়—তাঁরা বিবাহিত কিনা, সেটা যাচাইয়ের নামে।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন পরিষ্কার বলেছে—এটা সাংবাদিকতার নামে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এভাবে কারও অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ করা, তল্লাশি চালানো—আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই কাজ বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৪২ ও ৪৪৮ ধারায় অপরাধ। এর সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভঙ্গের কথাও উঠছে।

চান্দগাঁও থানার ওসি জানিয়েছেন—এভাবে তল্লাশি চালানোর কোনো অধিকার সাংবাদিকের নেই। গেস্ট হাউস নিয়ে অভিযোগ থাকলে তদন্ত করবে পুলিশ, সাংবাদিক নয়।