জাকসু নির্বাচন, ছাত্রশিবিরের নীলনকশার ইঙ্গিত দিলেন ভিপি প্রার্থী সাদী

- আপডেট সময় ০৪:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল–সমর্থিত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ছাত্রশিবির কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হওয়ার জন্য পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা তৈরি করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, ৩৩ বছর পর আজ জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
লিখিত বক্তব্যে শেখ সাদী হাসান বলেন, “আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাকসু প্যানেল ঘোষণার পর থেকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপুল সাড়া পেয়ে আমরা যখন পূর্ণ প্যানেল বিজয়ের আশা করছি, তখনই ভোটের আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি, নির্বাচন কমিশন যথাযথ ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে জামায়াতে ইসলামীর একটি অখ্যাত কোম্পানি থেকে জাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার ও ভোট গণনার জন্য ওএমআর মেশিন সংগ্রহ করেছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “শিবিরপন্থি প্যানেলকে বিজয়ী করার উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে। আমরা ভোট গণনায় কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন ওএমআর মেশিনের ব্যবহার বাতিল করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু একই কোম্পানির সরবরাহ করা ব্যালট পেপার দিয়েই আজকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
ভিপি প্রার্থী সাদী আরও বলেন, “ছাত্রশিবির তাদের নিজস্ব কোম্পানি থেকে আলাদা ব্যালট পেপার সংগ্রহ করেছে। এগুলো ব্যবহার করে তারা কারচুপির মাধ্যমে জয়লাভের নীলনকশা করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে নতুন ব্যালট পেপার ব্যবহারের দাবি জানালেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে আমরা কমিশনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। তবে আমরা আশা করছি, শেষ পর্যন্ত তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং শিবিরের নীলনকশা বাস্তবায়নে কোনো অপতৎপরতা চালাবে না।”
শেখ সাদী আরও অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আশপাশে জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তার দাবি, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে অনুৎসাহিত হবেন।