০৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

বয়স ৩০ পেরোলে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে কিছু পরিবর্তন ঘটেই থাকে। অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো কিছু পরিবর্তন ঘটে মস্তিষ্কেও। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গড়ে তুললে এসব ঝুঁকি কমে আসে অনেকটাই। যতো কম বয়সে আপনি সুস্বাস্থ্যের চর্চা শুরু করবেন, ততোই স্বাস্থ্যকর হবে আপনার প্রৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্যের দিনগুলো।

বয়স ৩০ বছর পেরোলেই নিজের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে আপনাকে। সুষম খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই। নানামুখী চাপ সামলে মনের যত্নও নিতে হবে। আরও জেনে রাখতে হবে, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। কিছু খাবার ও পানীয় আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ সম্পর্কে জেনে নিন আজ।

যেসব স্নেহজাতীয় পদার্থ কক্ষ তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে থাকে, সেসব সুস্বাদু হলেও আদতে স্বাস্থ্যকর নয়।

মাখন, ডালডা, মার্জারিন

মাখন সুস্বাদু। বাটার চিকেনের মতো সুস্বাদু পদ তৈরিতেও মাখন ব্যবহার করা হয়। তবে মনে রাখতে হবে, যেসব স্নেহজাতীয় পদার্থ কক্ষ তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে থাকে, সেসব সুস্বাদু হলেও আদতে স্বাস্থ্যকর নয়। এসব খাবার খেলে রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়ে। চর্বির কারণে একসময় দেহের কোনো ক্ষুদ্র রক্তনালিতে রক্তের প্রবাহ বন্ধও হয়ে যেতে পারে। মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়। তাই এসব স্নেহজাতীয় পদার্থ বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে। ডালডা বা মার্জারিনও স্বাস্থ্যকর নয়।

ডুবো তেলে ভাজা খাবার

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা ফ্রায়েড চিকেনের মতো ডিপ ফ্রায়েড বা ডুবো তেলে ভাজা খাবারও বাদ দিন। ডুবো তেলে ভাজা খাবারের কারণে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। আর প্রদাহের কারণেও মস্তিষ্কের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল হতে পারে ব্যাহত।

রেড মিট

রেড মিট বা লাল মাংস খেলে রক্তে খারাপ চর্বি বাড়তে পারে। মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে তাই লাল মাংস এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। কালেভদ্রে খেতে চাইলেও চর্বি ফেলে দেওয়া, ছোট আকারের কিছু মাংসের টুকরা বেছে নিন; অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে।

চিনিযুক্ত পানীয়

প্রাকৃতিক নিয়মেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসতে থাকে। তবে গবেষণা বলছে, চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি অনেক বেশি বাড়ে। বুঝতেই পারছেন, কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত জুস ও চিনিমেশানো অন্যান্য পানীয় ভীষণ অস্বাস্থ্যকর। চা-কফিও তাই খেতে হবে চিনি বাদ দিয়ে।

কৃত্রিম চিনি মেশানো পানীয়

চিনিযুক্ত পানীয় বাদ দেবেন মানে যে কৃত্রিম চিনি বেছে নেবেন, তা কিন্তু নয়। কৃত্রিম চিনির কারণেও স্ট্রোক ও স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ডায়েট সোডা বা ডায়েট কোলাজাতীয় পানীয়তে কৃত্রিম চিনি থাকে।

অ্যালকোহল

অ্যালকোহল আমাদের মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই অ্যালকোহল গ্রহণ করলে স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি বাড়ে। স্বল্প মাত্রার অ্যালকোহলও বর্জনীয়।

সূত্র: ওয়েবএমডি

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বয়স ৩০ পেরোলে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই

আপডেট সময় ০৫:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে কিছু পরিবর্তন ঘটেই থাকে। অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো কিছু পরিবর্তন ঘটে মস্তিষ্কেও। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গড়ে তুললে এসব ঝুঁকি কমে আসে অনেকটাই। যতো কম বয়সে আপনি সুস্বাস্থ্যের চর্চা শুরু করবেন, ততোই স্বাস্থ্যকর হবে আপনার প্রৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্যের দিনগুলো।

বয়স ৩০ বছর পেরোলেই নিজের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে আপনাকে। সুষম খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই। নানামুখী চাপ সামলে মনের যত্নও নিতে হবে। আরও জেনে রাখতে হবে, কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। কিছু খাবার ও পানীয় আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ সম্পর্কে জেনে নিন আজ।

যেসব স্নেহজাতীয় পদার্থ কক্ষ তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে থাকে, সেসব সুস্বাদু হলেও আদতে স্বাস্থ্যকর নয়।

মাখন, ডালডা, মার্জারিন

মাখন সুস্বাদু। বাটার চিকেনের মতো সুস্বাদু পদ তৈরিতেও মাখন ব্যবহার করা হয়। তবে মনে রাখতে হবে, যেসব স্নেহজাতীয় পদার্থ কক্ষ তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে থাকে, সেসব সুস্বাদু হলেও আদতে স্বাস্থ্যকর নয়। এসব খাবার খেলে রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়ে। চর্বির কারণে একসময় দেহের কোনো ক্ষুদ্র রক্তনালিতে রক্তের প্রবাহ বন্ধও হয়ে যেতে পারে। মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়। তাই এসব স্নেহজাতীয় পদার্থ বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে। ডালডা বা মার্জারিনও স্বাস্থ্যকর নয়।

ডুবো তেলে ভাজা খাবার

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা ফ্রায়েড চিকেনের মতো ডিপ ফ্রায়েড বা ডুবো তেলে ভাজা খাবারও বাদ দিন। ডুবো তেলে ভাজা খাবারের কারণে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। আর প্রদাহের কারণেও মস্তিষ্কের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল হতে পারে ব্যাহত।

রেড মিট

রেড মিট বা লাল মাংস খেলে রক্তে খারাপ চর্বি বাড়তে পারে। মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে তাই লাল মাংস এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। কালেভদ্রে খেতে চাইলেও চর্বি ফেলে দেওয়া, ছোট আকারের কিছু মাংসের টুকরা বেছে নিন; অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে।

চিনিযুক্ত পানীয়

প্রাকৃতিক নিয়মেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসতে থাকে। তবে গবেষণা বলছে, চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি অনেক বেশি বাড়ে। বুঝতেই পারছেন, কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত জুস ও চিনিমেশানো অন্যান্য পানীয় ভীষণ অস্বাস্থ্যকর। চা-কফিও তাই খেতে হবে চিনি বাদ দিয়ে।

কৃত্রিম চিনি মেশানো পানীয়

চিনিযুক্ত পানীয় বাদ দেবেন মানে যে কৃত্রিম চিনি বেছে নেবেন, তা কিন্তু নয়। কৃত্রিম চিনির কারণেও স্ট্রোক ও স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ডায়েট সোডা বা ডায়েট কোলাজাতীয় পানীয়তে কৃত্রিম চিনি থাকে।

অ্যালকোহল

অ্যালকোহল আমাদের মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই অ্যালকোহল গ্রহণ করলে স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি বাড়ে। স্বল্প মাত্রার অ্যালকোহলও বর্জনীয়।

সূত্র: ওয়েবএমডি