০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

খুলনার কয়রায় অভিযোগ; আওয়ামী লীগ নেতাদের চাঁদায় এনসিপির ইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৯:১৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

কয়রা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্যানারে ইফতার মাহফিল আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।

কয়রা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী ও তার সহযোগী আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন সংগঠনেরই সদস্য সচিব এস কে গালিবসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।

গত শুক্রবার কয়রা উপজেলা পরিষদ মাঠে বড় আয়োজনে এনসিপির ব্যানারে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন গোলাম রব্বানী। স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতাসহ শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।

গালিবের দাবি, কয়রায় এনসিপির কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। অথচ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতির কথা বলে চাঁদা তুলেছেন রব্বানী ও রউফ। এ জন্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছেও টাকা আদায় করা হয়েছে।

কয়রার আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমান বলেন, “রব্বানী ও রউফ এনসিপির ইফতারের নামে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন।” একইভাবে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদও ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানান।

এক আওয়ামী লীগ সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “চাঁদা না দিলে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল। বাধ্য হয়েই টাকা দিয়েছি।”

ইফতারের দাওয়াতপত্রে আয়োজকদের নাম না থাকলেও যোগাযোগের জন্য রব্বানী ও রউফের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে রব্বানী দাবি করেন, “নিজেদের টাকায় এই আয়োজন। আমাদের ভালো কাজ দেখে কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা ইমদাদুল হক বলেন, “৫ আগস্টের আন্দোলনে আমরা ঝুঁকি নিয়েছিলাম, কিন্তু রব্বানী কৌশলে আহ্বায়ক হয়েছেন।”

স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থ সংগ্রহ ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

খুলনার কয়রায় অভিযোগ; আওয়ামী লীগ নেতাদের চাঁদায় এনসিপির ইফতার

আপডেট সময় ০৯:১৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

কয়রা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্যানারে ইফতার মাহফিল আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।

কয়রা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী ও তার সহযোগী আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন সংগঠনেরই সদস্য সচিব এস কে গালিবসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।

গত শুক্রবার কয়রা উপজেলা পরিষদ মাঠে বড় আয়োজনে এনসিপির ব্যানারে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন গোলাম রব্বানী। স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতাসহ শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।

গালিবের দাবি, কয়রায় এনসিপির কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। অথচ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতির কথা বলে চাঁদা তুলেছেন রব্বানী ও রউফ। এ জন্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছেও টাকা আদায় করা হয়েছে।

কয়রার আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমান বলেন, “রব্বানী ও রউফ এনসিপির ইফতারের নামে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন।” একইভাবে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদও ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানান।

এক আওয়ামী লীগ সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “চাঁদা না দিলে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল। বাধ্য হয়েই টাকা দিয়েছি।”

ইফতারের দাওয়াতপত্রে আয়োজকদের নাম না থাকলেও যোগাযোগের জন্য রব্বানী ও রউফের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে রব্বানী দাবি করেন, “নিজেদের টাকায় এই আয়োজন। আমাদের ভালো কাজ দেখে কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা ইমদাদুল হক বলেন, “৫ আগস্টের আন্দোলনে আমরা ঝুঁকি নিয়েছিলাম, কিন্তু রব্বানী কৌশলে আহ্বায়ক হয়েছেন।”

স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থ সংগ্রহ ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।