ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
নগদের ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদের ৬৪৫ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, সংক্ষেপে দুদক।

আজ বুধবার, ৪ জুন, দুদকের ঢাকা কার্যালয়ে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এজাহার অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১লা মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত, আসামিরা মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে ‘ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টে’ কাগজে থাকা (ফিজিক্যাল) অর্থের স্থিতির চেয়ে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৭৫৮ টাকা বেশি ই-মানি ইস্যু করেন।

এরপর এই অতিরিক্ত ই-মানি অননুমোদিত ৪১টি ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে রিফান্ড করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন:

  • নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম
  • এএমডি ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক
  • সিনিয়র ম্যানেজার মারুফুল ইসলাম ঝলক
  • চিফ টেকনোলজি অফিসার মো. আবু রায়হান
  • চিফ ফাইন্যান্স অফিসার আফজাল আহমেদ
  • হেড অব ফাইন্যান্স মো. রাকিবুল ইসলাম
  • চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী
  • এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসামি মো. আবু রায়হান, মো. রাকিবুল ইসলাম, আফজাল আহমেদ, শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং গোলাম মর্তুজা চৌধুরী নগদ লিমিটেডের প্রোডাকশন সিস্টেমে এই অননুমোদিত ৪১টি ডিস্ট্রিবিউটর এন্ট্রি বা যুক্ত করেছিলেন। চক্রটি ডেটাবেস থেকে বিআই পোর্টাল ও বিপিও পোর্টালের ডেটাবেসে তথ্য এনে, পোর্টাল দুটির মাধ্যমে বিভিন্ন কাস্টমাইজড রিপোর্ট প্রস্তুত ও প্রদান করে এই অনিয়ম করেছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৭, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। এই ধারাগুলো সাধারণত আত্মসাৎ, প্রতারণা, জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত।

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন নাহিদের সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জুঁইকে তলব করেছিল, যা এই বিশাল আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত আরও গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নগদের ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা!

আপডেট সময় ০৬:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদের ৬৪৫ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, সংক্ষেপে দুদক।

আজ বুধবার, ৪ জুন, দুদকের ঢাকা কার্যালয়ে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এজাহার অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১লা মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত, আসামিরা মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে ‘ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টে’ কাগজে থাকা (ফিজিক্যাল) অর্থের স্থিতির চেয়ে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৭৫৮ টাকা বেশি ই-মানি ইস্যু করেন।

এরপর এই অতিরিক্ত ই-মানি অননুমোদিত ৪১টি ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে রিফান্ড করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন:

  • নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম
  • এএমডি ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক
  • সিনিয়র ম্যানেজার মারুফুল ইসলাম ঝলক
  • চিফ টেকনোলজি অফিসার মো. আবু রায়হান
  • চিফ ফাইন্যান্স অফিসার আফজাল আহমেদ
  • হেড অব ফাইন্যান্স মো. রাকিবুল ইসলাম
  • চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী
  • এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসামি মো. আবু রায়হান, মো. রাকিবুল ইসলাম, আফজাল আহমেদ, শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং গোলাম মর্তুজা চৌধুরী নগদ লিমিটেডের প্রোডাকশন সিস্টেমে এই অননুমোদিত ৪১টি ডিস্ট্রিবিউটর এন্ট্রি বা যুক্ত করেছিলেন। চক্রটি ডেটাবেস থেকে বিআই পোর্টাল ও বিপিও পোর্টালের ডেটাবেসে তথ্য এনে, পোর্টাল দুটির মাধ্যমে বিভিন্ন কাস্টমাইজড রিপোর্ট প্রস্তুত ও প্রদান করে এই অনিয়ম করেছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৭, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। এই ধারাগুলো সাধারণত আত্মসাৎ, প্রতারণা, জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত।

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন নাহিদের সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জুঁইকে তলব করেছিল, যা এই বিশাল আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত আরও গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।