ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইরাকে বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, লাশ নিয়ে অনিশ্চয়তা 

জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০১:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

ইরাকের বাগদাদে জেনারেটর বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ আলী (২৫) মারা গেছেন। গত বুধবার স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। 

১৫ জুন কর্মস্থলের জেনারেটর কক্ষে বিস্ফোরণে আলী গুরুতর দগ্ধ হন। তিনি ভোলা সদর উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং ২০২০ সাল থেকে বাগদাদের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাঁর আয়ে ৯ সদস্যের পরিবার চলত।

আলীর বাবা সালেহ আহমেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, *”বাড়ি হলো, ঘর হলো, কিন্তু আমার ছেলে ফিরল না… তার বিয়ে দেওয়া হলো না।”* গত নভেম্বরে দেশে এসে আলী বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছিলেন এবং বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এদকে কর্মস্থলের মালিক মরদেহ পাঠাতে রাজি  থাকলেও ইরাক থেকে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় শেষ করে পরিবার প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন  ।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

আলী গত বছর দেশে এসে পাকা বাড়ি তৈরি শুরু করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এখন শুধু চাওয়া, শেষবারের মতো তাঁর মুখ দেখার সুযোগ যেন পান তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরাকে বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, লাশ নিয়ে অনিশ্চয়তা 

আপডেট সময় ০১:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইরাকের বাগদাদে জেনারেটর বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ আলী (২৫) মারা গেছেন। গত বুধবার স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। 

১৫ জুন কর্মস্থলের জেনারেটর কক্ষে বিস্ফোরণে আলী গুরুতর দগ্ধ হন। তিনি ভোলা সদর উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং ২০২০ সাল থেকে বাগদাদের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাঁর আয়ে ৯ সদস্যের পরিবার চলত।

আলীর বাবা সালেহ আহমেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, *”বাড়ি হলো, ঘর হলো, কিন্তু আমার ছেলে ফিরল না… তার বিয়ে দেওয়া হলো না।”* গত নভেম্বরে দেশে এসে আলী বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছিলেন এবং বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এদকে কর্মস্থলের মালিক মরদেহ পাঠাতে রাজি  থাকলেও ইরাক থেকে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় শেষ করে পরিবার প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন  ।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

আলী গত বছর দেশে এসে পাকা বাড়ি তৈরি শুরু করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এখন শুধু চাওয়া, শেষবারের মতো তাঁর মুখ দেখার সুযোগ যেন পান তারা।