ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইসরায়েলে মানবিক সংকট চরমে: ৮ হাজার লোক গৃহহীন

ঢাকা প্রেস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

ইরান আর ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে। একদিকে যেমন বাড়ছে সামরিক হামলা, অন্যদিকে বাড়ছে মানবিক সংকট। ইসরায়েলের নিজস্ব সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইরানের পাল্টা হামলায় ৮ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ইয়েদিওথ আহরোনোথ পত্রিকার বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইসরায়েলের সম্পত্তি কর ক্ষতিপূরণ তহবিল জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বাড়িঘর বা যানবাহনের ক্ষতির জন্য প্রায় ৩০ হাজার ক্ষতিপূরণের আবেদন জমা পড়েছে। এর থেকে সহজেই বোঝা যায়, এই সংঘাতের মানবিক প্রভাব কতটা ভয়াবহ। হাজার হাজার মানুষ রাতারাতি তাদের ভিটেমাটি হারিয়েছে, অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছে তাদের দিন।

শুধু ইসরায়েল নয়, লেবাননেও চলছে হামলার ঘটনা। লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি ইসরায়েলি ড্রোন দক্ষিণ লেবাননের টায়ার জেলার আল-আবাসিয়াহ শহরে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।

গত বছরের নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তু বলে দাবি করা স্থানগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে লেবাননের রাজধানী বৈরুতও রয়েছে। এই ধরনের হামলা যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়াচ্ছে।

মিশর এই সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি ইরান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তিনি তার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মিশরের পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের ঝুঁকি সীমিত করতে যুদ্ধবিরতি ও কূটনীতির গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলে মানবিক সংকট চরমে: ৮ হাজার লোক গৃহহীন

আপডেট সময় ০৫:৩৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইরান আর ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে। একদিকে যেমন বাড়ছে সামরিক হামলা, অন্যদিকে বাড়ছে মানবিক সংকট। ইসরায়েলের নিজস্ব সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইরানের পাল্টা হামলায় ৮ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ইয়েদিওথ আহরোনোথ পত্রিকার বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইসরায়েলের সম্পত্তি কর ক্ষতিপূরণ তহবিল জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বাড়িঘর বা যানবাহনের ক্ষতির জন্য প্রায় ৩০ হাজার ক্ষতিপূরণের আবেদন জমা পড়েছে। এর থেকে সহজেই বোঝা যায়, এই সংঘাতের মানবিক প্রভাব কতটা ভয়াবহ। হাজার হাজার মানুষ রাতারাতি তাদের ভিটেমাটি হারিয়েছে, অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছে তাদের দিন।

শুধু ইসরায়েল নয়, লেবাননেও চলছে হামলার ঘটনা। লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি ইসরায়েলি ড্রোন দক্ষিণ লেবাননের টায়ার জেলার আল-আবাসিয়াহ শহরে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।

গত বছরের নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তু বলে দাবি করা স্থানগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে লেবাননের রাজধানী বৈরুতও রয়েছে। এই ধরনের হামলা যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়াচ্ছে।

মিশর এই সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি ইরান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তিনি তার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মিশরের পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের ঝুঁকি সীমিত করতে যুদ্ধবিরতি ও কূটনীতির গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।