ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ; হিজবুল্লাহকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ঢাকা প্রেস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

ইরান আর ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক নতুন মোড় নিয়েছে। এই সংঘাতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে উদ্বেগ আর আশঙ্কা।

আর এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এক কঠিন বার্তা দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে। কিন্তু এই হুঁশিয়ারি কি সত্যিই কাজ দেবে? নাকি পরিস্থিতি আরও জটিল হবে?

সম্প্রতি যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে হিজবুল্লাহ যেন এই সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সিরিয়ায় নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি টম ব্যারাক এক কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে হিজবুল্লাহর কোনো রকম হস্তক্ষেপ হবে খুবই, খুবই, খুবই বাজে সিদ্ধান্ত। প্রেসিডেন্ট তার অবস্থানে খুব পরিষ্কার।”

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই কঠোর সতর্কবাণী সত্ত্বেও হিজবুল্লাহ জানিয়েছে যে তারা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর নিশ্চিত করেছে। হিজবুল্লাহর বর্তমান নেতা শেখ নাইম কাসেম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিস্ফোরক বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “ইরানে যা চলছে, সেটা ইসরায়েল আর যুক্তরাষ্ট্রের মিলিত বর্বর আগ্রাসন ছাড়া কিছু নয়। এখানে তারা নিরপেক্ষ থাকবে না। তারা নিজেদের বিবেচনা অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

হিজবুল্লাহর এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলার আশঙ্কা তৈরি করেছে। হিজবুল্লাহ বহু বছর ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়ে আছে। এমনকি কিছুদিন আগেও ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তবুও তেল আবিব এখনো হিজবুল্লাহকে নিজেদের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবেই দেখে।

ইরান সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তেহরানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার অস্বীকার করে থাকে। আর এ কারণেই ইসরায়েল এবং তাদের ঘনিষ্ঠ পশ্চিমা মিত্ররা হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবেই চিহ্নিত করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ; হিজবুল্লাহকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ০৪:২৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইরান আর ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক নতুন মোড় নিয়েছে। এই সংঘাতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে উদ্বেগ আর আশঙ্কা।

আর এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এক কঠিন বার্তা দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে। কিন্তু এই হুঁশিয়ারি কি সত্যিই কাজ দেবে? নাকি পরিস্থিতি আরও জটিল হবে?

সম্প্রতি যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে হিজবুল্লাহ যেন এই সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সিরিয়ায় নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি টম ব্যারাক এক কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে হিজবুল্লাহর কোনো রকম হস্তক্ষেপ হবে খুবই, খুবই, খুবই বাজে সিদ্ধান্ত। প্রেসিডেন্ট তার অবস্থানে খুব পরিষ্কার।”

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই কঠোর সতর্কবাণী সত্ত্বেও হিজবুল্লাহ জানিয়েছে যে তারা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর নিশ্চিত করেছে। হিজবুল্লাহর বর্তমান নেতা শেখ নাইম কাসেম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিস্ফোরক বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “ইরানে যা চলছে, সেটা ইসরায়েল আর যুক্তরাষ্ট্রের মিলিত বর্বর আগ্রাসন ছাড়া কিছু নয়। এখানে তারা নিরপেক্ষ থাকবে না। তারা নিজেদের বিবেচনা অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

হিজবুল্লাহর এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলার আশঙ্কা তৈরি করেছে। হিজবুল্লাহ বহু বছর ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়ে আছে। এমনকি কিছুদিন আগেও ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তবুও তেল আবিব এখনো হিজবুল্লাহকে নিজেদের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবেই দেখে।

ইরান সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তেহরানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার অস্বীকার করে থাকে। আর এ কারণেই ইসরায়েল এবং তাদের ঘনিষ্ঠ পশ্চিমা মিত্ররা হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবেই চিহ্নিত করেছে।