০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

আলমডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আলতাপ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর ২০০৮ সাল থেকে তিনি ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বসবাস করে আসছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসূলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, ধর্ষণ মামলায় বাবা আলতাপকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার আদেশ দণ্ডিত ব্যক্তির জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ওই কিশোরীর মা আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব অনুভূত হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২-৩ মাসের অন্তসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়।

এরপর ওই কিশোরী জানায় যে, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়ি গেলে ওইদিন রাতে বাবা ঘরে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২-৩ মাসে ৭-৮ বার ধর্ষণ করে।

তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বাবা আলতাপ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আজ এ রায় হলো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আলমডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আলতাপ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর ২০০৮ সাল থেকে তিনি ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বসবাস করে আসছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসূলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, ধর্ষণ মামলায় বাবা আলতাপকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার আদেশ দণ্ডিত ব্যক্তির জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ওই কিশোরীর মা আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব অনুভূত হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২-৩ মাসের অন্তসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়।

এরপর ওই কিশোরী জানায় যে, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়ি গেলে ওইদিন রাতে বাবা ঘরে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২-৩ মাসে ৭-৮ বার ধর্ষণ করে।

তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বাবা আলতাপ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আজ এ রায় হলো।