০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে বিএনপির পিটুনি খেয়ে লাইভে এসে কাঁদলেন সমন্বয়ক

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবু চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন বলে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শাহাপুর ফাঁড়িতে স্থানীয় গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে মেহেদী হাসান খান বাবু বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। শাহাপুর ক্যাম্পে পুলিশের সামনে, এসআইয়ের সামনে আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমাকে যখন মারধর করছে তখন আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির লোকজন ছিল সেখানে। গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মারধর করা হয়।

কিছুক্ষণ পর আরেকটি ফেসবুক লাইভে আসেন মেহেদী হাসান খান বাবু। সেই লাইভে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, অনেকে যারা ফোন দিচ্ছেন, আমি ধরতে পারছি না। আমি এখনও শাহাপুর ক্যাম্পেই আছি। শুধু প্রতিহিংসার কারণেই আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আর আমি যদি মারাও যাই, আমি বিএনপির যে কয়জনের নাম বলে গেছি তারা দোষী। আমার ওপর হামলায় বেশিরভাগ জড়িত ছিল গড়াইটুপি ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লোকজন।

এ বিষয়ে শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সেটা সমাধানও হয়েছে। বাবু ভাইদের দলিলপত্র সবই ঠিক আছে। যখন বাবু ভাইরা চলে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ কিছু বেয়াদব এসে তাকে চড় মারে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমাদের ক্যাম্পের আইসি মেহেদী জীবননগর থানার ওসিকে জানিয়েছেন। আমি ফোর্স নিয়ে মেহেদী হাসান খান বাবুকে পৌঁছে দিতে এসেছি।

এ বিষয়ে জানতে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন বিশ্বাস বলেন, আমার ক্যাম্পের আইসি বিষয় মীমাংসা করে কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক বাবুকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে বিএনপির পিটুনি খেয়ে লাইভে এসে কাঁদলেন সমন্বয়ক

আপডেট সময় ০৬:০৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবু চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন বলে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শাহাপুর ফাঁড়িতে স্থানীয় গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে মেহেদী হাসান খান বাবু বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। শাহাপুর ক্যাম্পে পুলিশের সামনে, এসআইয়ের সামনে আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমাকে যখন মারধর করছে তখন আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির লোকজন ছিল সেখানে। গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মারধর করা হয়।

কিছুক্ষণ পর আরেকটি ফেসবুক লাইভে আসেন মেহেদী হাসান খান বাবু। সেই লাইভে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, অনেকে যারা ফোন দিচ্ছেন, আমি ধরতে পারছি না। আমি এখনও শাহাপুর ক্যাম্পেই আছি। শুধু প্রতিহিংসার কারণেই আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আর আমি যদি মারাও যাই, আমি বিএনপির যে কয়জনের নাম বলে গেছি তারা দোষী। আমার ওপর হামলায় বেশিরভাগ জড়িত ছিল গড়াইটুপি ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লোকজন।

এ বিষয়ে শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সেটা সমাধানও হয়েছে। বাবু ভাইদের দলিলপত্র সবই ঠিক আছে। যখন বাবু ভাইরা চলে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ কিছু বেয়াদব এসে তাকে চড় মারে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমাদের ক্যাম্পের আইসি মেহেদী জীবননগর থানার ওসিকে জানিয়েছেন। আমি ফোর্স নিয়ে মেহেদী হাসান খান বাবুকে পৌঁছে দিতে এসেছি।

এ বিষয়ে জানতে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন বিশ্বাস বলেন, আমার ক্যাম্পের আইসি বিষয় মীমাংসা করে কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক বাবুকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।