০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ভারত জানালো ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ২০২০ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহন করতে পারতো। কিন্তু ভারত গত সপ্তাহে বাংলাদেশকে দেওয়া সেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ভারতের বন্দরগুলোতে যানজট তৈরি কারণে পণ্য পরিবহণ করতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ওই জট কাটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে নেওয়া হলেও নেপাল-ভুটানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। অর্থাৎ ওই দুই দেশে ভারতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ।

রণধীর আরও বলেন, ভারত চায় বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও জানিয়েছেন, আমরা গণতান্ত্রিক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা বাংলাদেশ গঠনের পাশে আছি।

এদিকে ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত জানিয়েছেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। দুই দেশের মধ্যে যে টানাপড়েন চলছে, তার জেরেই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মতে, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের এই সিদ্ধান্ত ভারতের
জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আরও একটি নজির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে কোনো আপস করেন না। এই পদক্ষেপ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করবে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত জানালো ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণ

আপডেট সময় ০৪:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ২০২০ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহন করতে পারতো। কিন্তু ভারত গত সপ্তাহে বাংলাদেশকে দেওয়া সেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ভারতের বন্দরগুলোতে যানজট তৈরি কারণে পণ্য পরিবহণ করতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ওই জট কাটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে নেওয়া হলেও নেপাল-ভুটানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। অর্থাৎ ওই দুই দেশে ভারতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ।

রণধীর আরও বলেন, ভারত চায় বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও জানিয়েছেন, আমরা গণতান্ত্রিক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা বাংলাদেশ গঠনের পাশে আছি।

এদিকে ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত জানিয়েছেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। দুই দেশের মধ্যে যে টানাপড়েন চলছে, তার জেরেই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মতে, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের এই সিদ্ধান্ত ভারতের
জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আরও একটি নজির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে কোনো আপস করেন না। এই পদক্ষেপ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করবে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে