রোহিঙ্গা উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ বেড়ে ৪০০ কোটি টাকা, ভবিষ্যতে অনুদান নিয়ে সংশয়

- আপডেট সময় ০৭:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৯ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ বাড়ানো হয়েছে আরও প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। তবে এই প্রকল্পের ভবিষ্যত অনুদান সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে আরো দুই বছর অনুদান পাওয়া যাবে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি অনুযায়ী জাতিসংঘের আওতায় রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা কতটা নিশ্চিত হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান। শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
একনেক সভায় ২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকার জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টিসেক্টর প্রকল্প পাস করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং খরচ বেড়ে প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা হয়েছে, যা বিশ্বব্যাংক দেবে। প্রকল্পটি কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মৌলিক জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
একই সভায় ৯০৪ কোটি টাকার স্ট্রেনথেনিং সোশ্যাল প্রোটেকশন ফর ইম্প্রুভড রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুশন অ্যান্ড টার্গেটিং প্রকল্পও পাস করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা বাচ্চাদের জন্য সরকারি ভাতা সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অসত্যভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত লোকজন সরকারি ভাতা পান, যা প্রকৃত উপকারভোগীদের ভাতা দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করে।”
এছাড়া, একনেক সভায় ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকার বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পও পাস করা হয়েছে। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নয়, এটি নদীবন্দর হবে। কর্ণফুলী নদীর সরু পথ পাড়ি দিয়ে জাহাজগুলো বন্দরে আসবে। এই প্রকল্পে সাগরের ব্রেক ওয়াটার ও নেভিগেশন চ্যানেল নির্মাণ করা হবে, পাশাপাশি রেল ও সড়ক অবকাঠামো তৈরি করা হবে।
একনেক সভায় মোট ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার ১৬টি প্রকল্প পাস করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে এবং বাকি অর্থ সরকার এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রদান করবে।