ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ৪৩

- আপডেট সময় ১১:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিযেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ নিহতের ঘটনা ঘটে।
আইডিএফ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে। গাজা উপত্যকায় শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫২ হাজার ৪১৮ জন এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
ইসরায়েলি বাহিনী জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে । ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চলে। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।
কিন্তু গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মি ও ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি ইস্যুতে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় দেড় মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন নতুন দুই হাজার তিন শতাধিক এবং আহত হয়েছেন ছয় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জিম্মিদের মুক্ত, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
সূত্র : আলজাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি