০৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি’র কঠোর পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১২:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষাঙ্গনে ফের বড়সড় পদক্ষেপ! স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই, এমন ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন – ইউজিসি।

রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে এর মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নির্দেশে, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউজিসি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ স্পষ্ট বলছে, প্রতিষ্ঠার পর একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে সাত বছর এবং পরে আরও পাঁচ বছর সময় পায় তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য।

এই সময়সীমার মধ্যে যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ব্যর্থ, তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের মতো কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর করা চিঠি ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে।

সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, এই ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সাময়িক অনুমতির মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করেনি।

তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো – ঢাকার মোহাম্মদপুরের দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি এবং মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস। এছাড়াও রয়েছে – সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কড়া পদক্ষেপের পরেই নড়েচড়ে বসেছে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। জানা গেছে, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে গতকাল শনিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের আংশিক তৈরি হওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেছে। ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বয়ং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি।

সে বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং বাকি ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য আরও সময় দেওয়া হয়েছিল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি’র কঠোর পদক্ষেপ

আপডেট সময় ১২:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

শিক্ষাঙ্গনে ফের বড়সড় পদক্ষেপ! স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই, এমন ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন – ইউজিসি।

রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে এর মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নির্দেশে, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউজিসি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ স্পষ্ট বলছে, প্রতিষ্ঠার পর একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে সাত বছর এবং পরে আরও পাঁচ বছর সময় পায় তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য।

এই সময়সীমার মধ্যে যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ব্যর্থ, তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের মতো কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর করা চিঠি ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে।

সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, এই ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সাময়িক অনুমতির মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করেনি।

তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো – ঢাকার মোহাম্মদপুরের দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি এবং মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস। এছাড়াও রয়েছে – সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কড়া পদক্ষেপের পরেই নড়েচড়ে বসেছে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। জানা গেছে, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে গতকাল শনিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের আংশিক তৈরি হওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেছে। ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বয়ং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি।

সে বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং বাকি ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য আরও সময় দেওয়া হয়েছিল।