ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

টানা ১১ রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১১:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

টানা ১১ রাত ধরে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই গোলাগুলির ঘটনা রবিবার (৪ মে) রাতে ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সোমবার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যম গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে। তবে গতকাল রাতের ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর থেকে টানা ১১ রাত ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর একতরফা গুলিবর্ষণ করছে।

সর্বশেষ ৪ ও ৫ মে-র মধ্যবর্তী রাতে কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দরবনি ও আখনুর সেক্টরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান চলমান এই সংঘর্ষের মধ্যে পরস্পরের একেকজন সেনাকে আটক করেছে। গত ২৩ এপ্রিল ভারতের বিএসএফ সদস্য পূর্ণম কুমার সাহু সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করলে তাকে পাকিস্তান রেঞ্জার্স আটক করে। এর পাল্টা হিসেবে বিএসএফ তিন মে রাজস্থানে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করে।

ভারত পেহেলগাম হামলার পরদিনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, আতারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির ঘোষণা। ভারতের দাবি, হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের সংযোগ আছে।

জবাবে ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে। এমনকি তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাণিজ্যও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

এছাড়া ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দেয়, পানি বন্ধ করে দেওয়া হলে সেটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

এই পরিস্থিতির মধ্যে গত শনিবার পাকিস্তান আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এটিকে খোলামেলা উসকানি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কর্মকর্তারা । ‘সিন্ধু মহড়ার’ অংশ হিসেবে ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টানা ১১ রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি

আপডেট সময় ১১:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

টানা ১১ রাত ধরে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই গোলাগুলির ঘটনা রবিবার (৪ মে) রাতে ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সোমবার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যম গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে। তবে গতকাল রাতের ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর থেকে টানা ১১ রাত ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর একতরফা গুলিবর্ষণ করছে।

সর্বশেষ ৪ ও ৫ মে-র মধ্যবর্তী রাতে কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দরবনি ও আখনুর সেক্টরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান চলমান এই সংঘর্ষের মধ্যে পরস্পরের একেকজন সেনাকে আটক করেছে। গত ২৩ এপ্রিল ভারতের বিএসএফ সদস্য পূর্ণম কুমার সাহু সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করলে তাকে পাকিস্তান রেঞ্জার্স আটক করে। এর পাল্টা হিসেবে বিএসএফ তিন মে রাজস্থানে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করে।

ভারত পেহেলগাম হামলার পরদিনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, আতারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির ঘোষণা। ভারতের দাবি, হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের সংযোগ আছে।

জবাবে ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে। এমনকি তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাণিজ্যও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

এছাড়া ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দেয়, পানি বন্ধ করে দেওয়া হলে সেটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

এই পরিস্থিতির মধ্যে গত শনিবার পাকিস্তান আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এটিকে খোলামেলা উসকানি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কর্মকর্তারা । ‘সিন্ধু মহড়ার’ অংশ হিসেবে ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।