ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
বাড্ডায় বিএনপি নেতা খুন

নেপথ্যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ক্ষমতার লড়াই, বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৯:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

গত রবিবার রাতে মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাটের ৪ নম্বর সড়কে জনসমক্ষে গুলি করে হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা সাধনকে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাধন আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎই দুই যুবক লেকপাড়ের দিক থেকে হেঁটে আসে। তাদের একজন সাধনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সাধন চেয়ার থেকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।

এরপর আরেকজনও গুলি করে। গুলি চালানোর পর ধীরেসুস্থে তারা একটি গলি দিয়ে পালিয়ে যায়। কেউ তাদের বাধা দিতেও এগিয়ে আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫ এর মধ্যে হবে। সাদাকে সাদা গেঞ্জি এবং অন্যজনের গায়ে শার্ট ছিল। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, সাধনের সাথে বসে থাকা তিন বন্ধু তাকে উদ্ধার না করে ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মার্কেটে দোকান বরাদ্দ, বাড্ডা এলাকায় কেবল টিভি সংযোগ, ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় দুটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এই দ্বন্দ্বের একপক্ষে রয়েছে ডালিম, রবিন ও মাহবুব গ্রুপ, আর অন্যপক্ষে মেহেদী হাসান কলিংস গ্রুপ। এখানেই আসে সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য, এই দুই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে বিদেশ থেকে!

মেহেদী হাসান কলিংস গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে, আর তার প্রতিপক্ষ ডালিম, রবিন, মাহবুব গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে মালয়েশিয়া থেকে। অর্থাৎ, বাড্ডার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে সুদূর বিদেশ থেকে!

নিহত সাধনের সাথে ডালিম, রবিন ও মাহবুব গ্রুপের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গেছে। তিনি যে ইন্টারনেট ব্যবসা করতেন, তার পেছনে রবিন গ্রুপের সমর্থন ছিল।

এই রবিন গ্রুপের সঙ্গেই মেহেদী গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধ। পুলিশ আরও তদন্ত করছে যে, গত ২১ মার্চ গুলশানে সুমন মিয়া ওরফে টেলি সুমন নামে এক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ী খুন হয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাড্ডায় বিএনপি নেতা খুন

নেপথ্যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ক্ষমতার লড়াই, বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ!

আপডেট সময় ০৯:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

গত রবিবার রাতে মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাটের ৪ নম্বর সড়কে জনসমক্ষে গুলি করে হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা সাধনকে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাধন আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎই দুই যুবক লেকপাড়ের দিক থেকে হেঁটে আসে। তাদের একজন সাধনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সাধন চেয়ার থেকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।

এরপর আরেকজনও গুলি করে। গুলি চালানোর পর ধীরেসুস্থে তারা একটি গলি দিয়ে পালিয়ে যায়। কেউ তাদের বাধা দিতেও এগিয়ে আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫ এর মধ্যে হবে। সাদাকে সাদা গেঞ্জি এবং অন্যজনের গায়ে শার্ট ছিল। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, সাধনের সাথে বসে থাকা তিন বন্ধু তাকে উদ্ধার না করে ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মার্কেটে দোকান বরাদ্দ, বাড্ডা এলাকায় কেবল টিভি সংযোগ, ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় দুটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এই দ্বন্দ্বের একপক্ষে রয়েছে ডালিম, রবিন ও মাহবুব গ্রুপ, আর অন্যপক্ষে মেহেদী হাসান কলিংস গ্রুপ। এখানেই আসে সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য, এই দুই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে বিদেশ থেকে!

মেহেদী হাসান কলিংস গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে, আর তার প্রতিপক্ষ ডালিম, রবিন, মাহবুব গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে মালয়েশিয়া থেকে। অর্থাৎ, বাড্ডার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে সুদূর বিদেশ থেকে!

নিহত সাধনের সাথে ডালিম, রবিন ও মাহবুব গ্রুপের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গেছে। তিনি যে ইন্টারনেট ব্যবসা করতেন, তার পেছনে রবিন গ্রুপের সমর্থন ছিল।

এই রবিন গ্রুপের সঙ্গেই মেহেদী গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধ। পুলিশ আরও তদন্ত করছে যে, গত ২১ মার্চ গুলশানে সুমন মিয়া ওরফে টেলি সুমন নামে এক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ী খুন হয়েছিলেন।