ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পেসএক্সের রকেট আকাশে ছড়িয়ে পড়ল ধ্বংসাবশেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

আবারও এক পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশভিত্তিক কোম্পানি স্পেসএক্স। স্পেসএক্সের স্টারশিপ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট মূলত উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

পরে ফ্লাইটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ছিটকে পড়ে এবং একপর্যায়ে সেটি ‘বিস্ফোরিত’ হয় ও আকাশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে। এই তথ্য বুধবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পরই তাদের নবম স্টারশিপ পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ছিটকে পড়ে এবং একপর্যায়ে এটি ‘বিস্ফোরিত’ হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

স্পেসএক্স-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, রকেটটিতে জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে এটি মহাকাশে ঘূর্ণায়মান হয়ে পড়ে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। পরে এটি র‍্যাপিড আনস্কেডিউলড ডিসঅ্যাসেম্বলি বা দ্রুত ও অনির্ধারিতভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়—মানে, বিস্ফোরিত হয়।

স্পেসএক্স লিখেছে, এই ধরনের পরীক্ষায় সাফল্য আসে শেখা থেকে। আজকের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে স্টারশিপের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

আল জাজিরা বলছে, ১২৩ মিটার বা ৪০৩ ফুট উঁচু এই রকেটটি ইতোপূর্বে যতোবার উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, এবার তা আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছিল, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এর আগে গত ৬ মার্চ আরেকটি স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়েছিল।

মূলত স্টারশিপ প্রকল্পের পেছনে মাস্ক এরই মধ্যে বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছেন। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়ার পথ তৈরি করা। এ ছাড়া, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে যৌথভাবে ৫০ বছরের বেশি সময় পর ফের চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে স্পেসএক্স।

স্পেসএক্স-এর এই বিশালাকৃতির রকেটগুলো এর আগে একাধিকবার দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) রকেট উৎক্ষেপণের কারণে ফ্লোরিডার চারটি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়, যার মধ্যে মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে।

তাই এফএএ এবার স্টারশিপ উৎক্ষেপণের জন্য আকাশসীমা প্রায় দ্বিগুণ করে দুই হাজার ৯৬৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। এ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য, বাহামা, তুর্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ, মেক্সিকো এবং কিউবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছে স্পেসএক্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পেসএক্সের রকেট আকাশে ছড়িয়ে পড়ল ধ্বংসাবশেষ

আপডেট সময় ০১:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

আবারও এক পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশভিত্তিক কোম্পানি স্পেসএক্স। স্পেসএক্সের স্টারশিপ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট মূলত উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

পরে ফ্লাইটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ছিটকে পড়ে এবং একপর্যায়ে সেটি ‘বিস্ফোরিত’ হয় ও আকাশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে। এই তথ্য বুধবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পরই তাদের নবম স্টারশিপ পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ছিটকে পড়ে এবং একপর্যায়ে এটি ‘বিস্ফোরিত’ হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

স্পেসএক্স-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, রকেটটিতে জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে এটি মহাকাশে ঘূর্ণায়মান হয়ে পড়ে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। পরে এটি র‍্যাপিড আনস্কেডিউলড ডিসঅ্যাসেম্বলি বা দ্রুত ও অনির্ধারিতভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়—মানে, বিস্ফোরিত হয়।

স্পেসএক্স লিখেছে, এই ধরনের পরীক্ষায় সাফল্য আসে শেখা থেকে। আজকের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে স্টারশিপের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

আল জাজিরা বলছে, ১২৩ মিটার বা ৪০৩ ফুট উঁচু এই রকেটটি ইতোপূর্বে যতোবার উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, এবার তা আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছিল, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এর আগে গত ৬ মার্চ আরেকটি স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়েছিল।

মূলত স্টারশিপ প্রকল্পের পেছনে মাস্ক এরই মধ্যে বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছেন। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়ার পথ তৈরি করা। এ ছাড়া, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে যৌথভাবে ৫০ বছরের বেশি সময় পর ফের চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে স্পেসএক্স।

স্পেসএক্স-এর এই বিশালাকৃতির রকেটগুলো এর আগে একাধিকবার দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) রকেট উৎক্ষেপণের কারণে ফ্লোরিডার চারটি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়, যার মধ্যে মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে।

তাই এফএএ এবার স্টারশিপ উৎক্ষেপণের জন্য আকাশসীমা প্রায় দ্বিগুণ করে দুই হাজার ৯৬৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। এ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য, বাহামা, তুর্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ, মেক্সিকো এবং কিউবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছে স্পেসএক্স।