ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

ভালোবাসা হারানোর ভয়! থানায় আত্মহত্যার চেষ্টা কিশোরের

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:২০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

প্রেমিকা হারানোর ভয়… আর সেই ভয় থেকেই থানার ভেতর আত্মহত্যার চেষ্টা! পঞ্চগড় সদর থানায় রোববার ঘটে গেল এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা এখন সারা দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

মাত্র ১৭ বছরের এক কিশোর, যার অপরাধ—ভালোবেসেছিল নিজের চাচাতো বোনকে। পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেছিল সে, কিন্তু প্রেমিকার বাবার আপত্তিতে থানায় পৌঁছায় পুরো ঘটনা।
আর সেখানেই—নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের কক্ষে, জানালার পর্দা ছিঁড়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়ার চেষ্টা!

পুলিশ তৎক্ষণাৎ দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত, সে এখন শঙ্কামুক্ত—তবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

জানা গেছে, গত ২৮ মে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় কিশোরটি। এফিডেভিট করে বিয়েও করে তারা, আর ফিরে যায় নিজের বাড়িতে। কিন্তু মেয়ের বাবা থানায় জিডি করলে, দুজনকে আলাদা করে থানায় নিয়ে আসা হয় সমঝোতার জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হচ্ছিল, সন্তানদের বাড়ি নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল। এই সময়েই ঘটে আত্মঘাতী সেই মুহূর্ত।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে। নেটিজেনদের অনেকে থানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন—কীভাবে সম্ভব পুলিশি হেফাজতে এমন ঘটনা? পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

কিশোরের বাবা বলেন, “মেয়ের পরিবার ভালো অবস্থায় আছে, তাই তারা সম্পর্কটা মেনে নেয়নি। কিন্তু আমাদের ছেলে মেয়েকে সত্যিকারের ভালোবাসে। আমরা মিলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিলাম।”

হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রেজওয়ানুল্লাহ বলেন, “গলায় তেমন গুরুতর চোট না থাকলেও মানসিকভাবে সে প্রচণ্ড বিপর্যস্ত। এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ভালোবাসা হারানোর ভয়! থানায় আত্মহত্যার চেষ্টা কিশোরের

আপডেট সময় ০২:২০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

প্রেমিকা হারানোর ভয়… আর সেই ভয় থেকেই থানার ভেতর আত্মহত্যার চেষ্টা! পঞ্চগড় সদর থানায় রোববার ঘটে গেল এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা এখন সারা দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

মাত্র ১৭ বছরের এক কিশোর, যার অপরাধ—ভালোবেসেছিল নিজের চাচাতো বোনকে। পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেছিল সে, কিন্তু প্রেমিকার বাবার আপত্তিতে থানায় পৌঁছায় পুরো ঘটনা।
আর সেখানেই—নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের কক্ষে, জানালার পর্দা ছিঁড়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়ার চেষ্টা!

পুলিশ তৎক্ষণাৎ দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত, সে এখন শঙ্কামুক্ত—তবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

জানা গেছে, গত ২৮ মে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় কিশোরটি। এফিডেভিট করে বিয়েও করে তারা, আর ফিরে যায় নিজের বাড়িতে। কিন্তু মেয়ের বাবা থানায় জিডি করলে, দুজনকে আলাদা করে থানায় নিয়ে আসা হয় সমঝোতার জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হচ্ছিল, সন্তানদের বাড়ি নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল। এই সময়েই ঘটে আত্মঘাতী সেই মুহূর্ত।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে। নেটিজেনদের অনেকে থানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন—কীভাবে সম্ভব পুলিশি হেফাজতে এমন ঘটনা? পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

কিশোরের বাবা বলেন, “মেয়ের পরিবার ভালো অবস্থায় আছে, তাই তারা সম্পর্কটা মেনে নেয়নি। কিন্তু আমাদের ছেলে মেয়েকে সত্যিকারের ভালোবাসে। আমরা মিলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিলাম।”

হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রেজওয়ানুল্লাহ বলেন, “গলায় তেমন গুরুতর চোট না থাকলেও মানসিকভাবে সে প্রচণ্ড বিপর্যস্ত। এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”