ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

দুই মাস পর নিষেধাজ্ঞা শেষে জাল নিয়ে সমুদ্রে জেলেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গোপসাগরে মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরণের জন্য সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলোর জেলেরা বুধবার (১১ জুন) দিবাগত মধ্যরাত থেকে সমুদ্রে মাছ আহরণ শুরু করেছেন।

সরকার গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। আগে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৬৫ দিন।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানিয়েছেন, জেলায় সমুদ্রগামী জেলের মোট সংখ্যা ৬৫ হাজার। এই জেলেরা ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। এ সময়ে সরকার তাদের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স সমুদ্রে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার সকাল থেকেই জেলেপল্লীগুলোতে দেখা যায়, সমুদ্রে যেতে জেলেরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তাদের অনেকে জাল, খাবার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছেন।

২০১৫ সাল থেকে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন ট্রলারের মাধ্যমে সব ধরনের মাছ ও চিংড়ি আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছিল সরকার। ভারতের জলসীমায় এ নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন ৬১ দিন। এবার থেকে সরকার ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় সাত দিন কমিয়ে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন করে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সারাদেশে মাছের জোগান অনেকটাই কমে গেছে। এতে বাজারে মাছের দামও বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই মাস পর নিষেধাজ্ঞা শেষে জাল নিয়ে সমুদ্রে জেলেরা

আপডেট সময় ০১:০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরণের জন্য সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলোর জেলেরা বুধবার (১১ জুন) দিবাগত মধ্যরাত থেকে সমুদ্রে মাছ আহরণ শুরু করেছেন।

সরকার গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। আগে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৬৫ দিন।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানিয়েছেন, জেলায় সমুদ্রগামী জেলের মোট সংখ্যা ৬৫ হাজার। এই জেলেরা ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। এ সময়ে সরকার তাদের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স সমুদ্রে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার সকাল থেকেই জেলেপল্লীগুলোতে দেখা যায়, সমুদ্রে যেতে জেলেরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তাদের অনেকে জাল, খাবার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছেন।

২০১৫ সাল থেকে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন ট্রলারের মাধ্যমে সব ধরনের মাছ ও চিংড়ি আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছিল সরকার। ভারতের জলসীমায় এ নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন ৬১ দিন। এবার থেকে সরকার ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় সাত দিন কমিয়ে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন করে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সারাদেশে মাছের জোগান অনেকটাই কমে গেছে। এতে বাজারে মাছের দামও বেড়েছে।