ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

৯ লাখ তরুণের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের যুবকদের জন্য নতুন আশার আলো। ‘আর্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ নারীসহ ৯ লাখ তরুণ-তরুণী পাবেন কর্মসংস্থানের সুযোগ। ‘এমপাওয়ারিং অ্যাকশনস ফর রেজিলিয়েন্ট নিউ জেনারেশন’ বা আর্ন প্রকল্প বাংলাদেশের যুব সমাজের জন্য এক যুগান্তকারী উদ্যোগ।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের লক্ষ্য ২০২৮ সালের মধ্যে ৯ লাখ তরুণ-তরুণীকে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করা, যার মধ্যে ৫ লাখ হবেন নারী।

বাংলাদেশে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অনেক তরুণ এখনো শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা চাকরির সঙ্গে যুক্ত নন। বিশেষ করে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুব নারী এই ‘নিট’ গোষ্ঠীর অংশ। আর্ন প্রকল্প এই তরুণদের, বিশেষ করে নারীদের, দক্ষ করে গড়ে তুলবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি, ফ্রিল্যান্সিং, সবুজ প্রযুক্তি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, সৌরশক্তি, হস্তশিল্প ও গার্মেন্টস খাতে তাদের প্রস্তুত করা হবে।

শুধু চাকরি নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যও থাকবে ক্ষুদ্রঋণ, ব্যবসায়িক পরামর্শ ও সহায়ক কাঠামো। এর ফলে তরুণরা নিজেদের ব্যবসা শুরু করে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন।

আর্ন প্রকল্প শুধু অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নয়, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও জোর দিচ্ছে। নারীদের জন্য থাকবে আলাদা প্রশিক্ষণ, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, কাউন্সেলিং ও ক্যারিয়ার গাইড। প্রতি ১০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তের মধ্যে ৫৫ জন হবেন নারী, যারা গ্রাম-শহরের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব বলেন, “আর্ন প্রকল্প যুব নারীদের দক্ষ করে তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করবে। এটি শুধু চাকরি নয়, নেতৃত্ব ও আত্মনির্ভরতার প্ল্যাটফর্ম।” অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রকল্প দেশের জিডিপিতে ১.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ করতে পারে।

আর্ন প্রকল্প বাংলাদেশের যুবশক্তিকে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। তরুণরা কীভাবে এই সুযোগ কাজে লাগায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

৯ লাখ তরুণের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন

আপডেট সময় ০২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের যুবকদের জন্য নতুন আশার আলো। ‘আর্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ নারীসহ ৯ লাখ তরুণ-তরুণী পাবেন কর্মসংস্থানের সুযোগ। ‘এমপাওয়ারিং অ্যাকশনস ফর রেজিলিয়েন্ট নিউ জেনারেশন’ বা আর্ন প্রকল্প বাংলাদেশের যুব সমাজের জন্য এক যুগান্তকারী উদ্যোগ।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের লক্ষ্য ২০২৮ সালের মধ্যে ৯ লাখ তরুণ-তরুণীকে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করা, যার মধ্যে ৫ লাখ হবেন নারী।

বাংলাদেশে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অনেক তরুণ এখনো শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা চাকরির সঙ্গে যুক্ত নন। বিশেষ করে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুব নারী এই ‘নিট’ গোষ্ঠীর অংশ। আর্ন প্রকল্প এই তরুণদের, বিশেষ করে নারীদের, দক্ষ করে গড়ে তুলবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি, ফ্রিল্যান্সিং, সবুজ প্রযুক্তি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, সৌরশক্তি, হস্তশিল্প ও গার্মেন্টস খাতে তাদের প্রস্তুত করা হবে।

শুধু চাকরি নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যও থাকবে ক্ষুদ্রঋণ, ব্যবসায়িক পরামর্শ ও সহায়ক কাঠামো। এর ফলে তরুণরা নিজেদের ব্যবসা শুরু করে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন।

আর্ন প্রকল্প শুধু অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নয়, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও জোর দিচ্ছে। নারীদের জন্য থাকবে আলাদা প্রশিক্ষণ, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, কাউন্সেলিং ও ক্যারিয়ার গাইড। প্রতি ১০০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তের মধ্যে ৫৫ জন হবেন নারী, যারা গ্রাম-শহরের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব বলেন, “আর্ন প্রকল্প যুব নারীদের দক্ষ করে তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করবে। এটি শুধু চাকরি নয়, নেতৃত্ব ও আত্মনির্ভরতার প্ল্যাটফর্ম।” অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রকল্প দেশের জিডিপিতে ১.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ করতে পারে।

আর্ন প্রকল্প বাংলাদেশের যুবশক্তিকে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। তরুণরা কীভাবে এই সুযোগ কাজে লাগায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।