ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও মোসাদ কার্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ঢাকা প্রেস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদ কার্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের হার্জলিয়া শহরে অবস্থিত সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ‘আমান’ এবং তেল আবিবের মোসাদ সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ইউনিট এই হামলা পরিচালনা করে। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম সত্ত্বেও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। হামলার পর মোসাদ কার্যালয়ে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, হার্জলিয়ার এই ‘স্পর্শকাতর’ স্থানে হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে মোসাদের কয়েকজন কর্মকর্তা ও সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

ইরান দাবি করেছে, এই হামলা ১৩ জুন ইসরায়েলের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র ও তেহরানের সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ। সেই হামলায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার হোসেইন সালামি, বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি ও ৫৪ জন নারী-শিশুসহ ২২৪ জন নিহত হয়েছিলেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে আরও পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাজা কালাস উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি নাতাঞ্জে পারমাণবিক দূষণের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে। আগামী দিনগুলোতে ইরান আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে এবং ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও মোসাদ কার্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আপডেট সময় ০৫:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদ কার্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের হার্জলিয়া শহরে অবস্থিত সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ‘আমান’ এবং তেল আবিবের মোসাদ সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ইউনিট এই হামলা পরিচালনা করে। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম সত্ত্বেও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। হামলার পর মোসাদ কার্যালয়ে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, হার্জলিয়ার এই ‘স্পর্শকাতর’ স্থানে হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে মোসাদের কয়েকজন কর্মকর্তা ও সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

ইরান দাবি করেছে, এই হামলা ১৩ জুন ইসরায়েলের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র ও তেহরানের সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ। সেই হামলায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার হোসেইন সালামি, বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি ও ৫৪ জন নারী-শিশুসহ ২২৪ জন নিহত হয়েছিলেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে আরও পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাজা কালাস উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি নাতাঞ্জে পারমাণবিক দূষণের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে। আগামী দিনগুলোতে ইরান আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে এবং ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে।