প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী শার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

- আপডেট সময় ১২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রক্ষণশীল রাজনৈতিক নেতা এবং টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ক ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের ওরেম শহরের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তার ঘাড়ে আঘাত হানলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কার্ক নিহতের পর সন্দেহভাজন একজনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে এফবিআই। সংস্থাটির পরিচালক কাশ প্যাটেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “আজকের ভয়ঙ্কর গুলিতে চার্লি কার্কের মৃত্যুতে দায়ী ব্যক্তি বর্তমানে হেফাজতে রয়েছে। ইউটাহের স্থানীয় ও রাজ্য কর্তৃপক্ষ এফবিআইকে সহযোগিতা করেছে, তাদের ধন্যবাদ।”
হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে কার্ক তার ঘাড়ের দিকে হাত বাড়ান এবং মঞ্চ থেকে পড়ে যান। দর্শকেরা আতঙ্কিত হয়ে চারদিকে ছুটতে থাকেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তার ঘাড় থেকে রক্ত ঝরছে।
ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর স্পেন্সার কক্স সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাটিকে “রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড” বলে উল্লেখ করে বলেন, “এটি আমাদের রাজ্যের জন্য এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন এবং দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক একটি দিন।”
৩১ বছর বয়সী চার্লি কার্ক ‘দ্য আমেরিকান কমব্যাক ট্যুর’-এর অংশ হিসেবে তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল মূল্যবোধ প্রচার করছিলেন। তার মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং কার্কের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, চার্লি কার্কের এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।