ছাত্রীর সঙ্গে রাবি শিক্ষক আপত্তিকর অবস্থায় ধরা

- আপডেট সময় ০১:১৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষক ছাত্রীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন রবিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় তাদের হাতেনাতে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেই ভিডিও বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ নামের ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। ওই ছাত্রী ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার ছিল বন্ধের দিন। এদিন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ বিকেল পাঁচটার দিকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর রুমে প্রবেশ করে। এরপর কক্ষে প্রবেশ করেই বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে দেন তারা। কয়েকজন শিক্ষার্থী সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই কক্ষের দরজায় কড়া নাড়েন। বেশ কিছুক্ষণ পর শিক্ষক দরজা খুলে দেন। শিক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পান।
শিক্ষার্থীরা ভিডিও করার সময় ওই ছাত্রীর মাথায় একটি রুমাল পরিয়ে মাথা ঢেকে দেন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তখন জানতে চান, ছাত্রীর মাথায় কেন রুমাল পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? জবাবে শিক্ষক বলেন, সে মেয়ে মানুষ, তাই।
এ সময় ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় কক্ষে প্রবেশ করা শিক্ষার্থীদের। পরে বিষয়টি তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শিবলী সাদিক বলেন, এর আগে এক ছাত্রী মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছিল। তখন বিভাগের সভাপতি আরেকজন ছিলেন। পরে বিভাগের সভাপতি বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবে গত রবিবার ছাত্রীর সঙ্গে কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর কক্ষে ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কেউ অভিযোগ দেননি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। খোঁজ নিচ্ছি। প্রথমে জানতে হবে সেখানে আসলে কী ঘটেছে, সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।