০১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

জুনেই আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তি ছাড়ের প্রত্যাশা সরকারের

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ গত ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও ছাড় হয়নি।

আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত ডিসেম্বরে ঢাকা সফর করলেও এ কিস্তি অনুমোদনের জন্য নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক দু’দফা পিছিয়ে গেছে। ফলে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে আগামী জুনে ছাড়ার আশা করছে সরকার।

ঋণের শর্ত হিসেবে কর আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার পিছিয়ে থাকলেও অন্যান্য শর্ত পূরণের অগ্রগতির কারণে এই প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তবে মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার ক্ষেত্রে আইএমএফের প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোতে না পারলেও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এরই মধ্যে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের আরেকটি প্রতিনিধি দল আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। রোববার থেকে দুই সপ্তাহ ধরে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে। প্রথম বৈঠকটি হবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি ডলার ছাড় হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে পুরো অর্থ পাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। চতুর্থ কিস্তির সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার পেতে গত জুনভিত্তিক শর্ত বাস্তবায়নের কথা ছিল।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আইএমএফের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। প্রাথমিকভাবে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১২ মার্চ করা হয়। শেষ পর্যন্ত জুন পর্যন্ত সময় পিছিয়ে যায়।

গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার ও আইএমএফের সম্মতিতে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিছু সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে বলে এই সিদ্ধান্ত।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগের কিস্তিগুলো শর্ত পূরণে ঘাটতি থাকলেও বাংলাদেশের অনুরোধে ছাড় করেছে আইএমএফ। তবে সাম্প্রতিক সফরে প্রতিনিধি দল কর অব্যাহতি কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। পরে জনমতের চাপে কিছু পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুনেই আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তি ছাড়ের প্রত্যাশা সরকারের

আপডেট সময় ১০:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ গত ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও ছাড় হয়নি।

আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত ডিসেম্বরে ঢাকা সফর করলেও এ কিস্তি অনুমোদনের জন্য নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক দু’দফা পিছিয়ে গেছে। ফলে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে আগামী জুনে ছাড়ার আশা করছে সরকার।

ঋণের শর্ত হিসেবে কর আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার পিছিয়ে থাকলেও অন্যান্য শর্ত পূরণের অগ্রগতির কারণে এই প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তবে মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার ক্ষেত্রে আইএমএফের প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোতে না পারলেও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এরই মধ্যে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের আরেকটি প্রতিনিধি দল আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। রোববার থেকে দুই সপ্তাহ ধরে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে। প্রথম বৈঠকটি হবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি ডলার ছাড় হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে পুরো অর্থ পাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। চতুর্থ কিস্তির সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার পেতে গত জুনভিত্তিক শর্ত বাস্তবায়নের কথা ছিল।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আইএমএফের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। প্রাথমিকভাবে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১২ মার্চ করা হয়। শেষ পর্যন্ত জুন পর্যন্ত সময় পিছিয়ে যায়।

গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার ও আইএমএফের সম্মতিতে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিছু সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে বলে এই সিদ্ধান্ত।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগের কিস্তিগুলো শর্ত পূরণে ঘাটতি থাকলেও বাংলাদেশের অনুরোধে ছাড় করেছে আইএমএফ। তবে সাম্প্রতিক সফরে প্রতিনিধি দল কর অব্যাহতি কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। পরে জনমতের চাপে কিছু পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।