০১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

মানিকগঞ্জে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা’ সমাপ্ত, উৎসবে মুখর তিন দিন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ২০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা’ সম্পন্ন হয়েছে। দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি বছর আয়োজিত হলেও, এবার রমজানের কারণে ঈদের তিন দিন পর গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী এ মেলা। শনিবার মেলা শেষ হয় স্থানীয় স্কুল মাঠে।

পয়লা ইউনিয়নের বাঙ্গালা মুক্তা সংঘের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মেলার প্রথম দিনটি ‘জামাই মেলা’, দ্বিতীয় দিন ‘বৌ মেলা’ এবং তৃতীয় দিন ‘সার্বজনীন মেলা’ নামে পরিচিত। স্থানীয়ভাবে এটি দোল মেলা, বাঙ্গালার মেলা বা মাছের মেলা নামেও খ্যাত।

মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল জামাইদের মাছ কেনার প্রতিযোগিতা। মেয়ে ও জামাইদের শ্বশুরবাড়ি আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেখানে জামাইরা বড় মাছ, পান-সুপারি ও মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। পরে শ্বশুরবাড়িতে আপ্যায়নের পাশাপাশি জামাইদের মোবাইল ফোন, গরু, মহিষ, স্বর্ণালংকারসহ নানা পুরস্কার দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় দিনের ‘বৌ মেলায়’ নববধূ ও পরিবারের সদস্যরা কেনাকাটা করেন। মেলায় মাছ, আসবাবপত্র, বাঁশ-বেতের সামগ্রী, মিষ্টি, কসমেটিকস ও মুখরোচক খাবারের দোকানে ছিল ভিড়। বিশেষ করে ১ থেকে ২০ কেজি ওজনের বড় মাছের চাহিদা ছিল তুঙ্গে।

মেলার শেষ দিনে কিশোর ও প্রবীণদের মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, বিজয়ীদের মোবাইল ফোন, দেয়াল ঘড়ি ও অন্যান্য পুরস্কার দেওয়া হয়। স্থানীয়দের মতে, এই মেলা গ্রামীণ সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির অনন্য প্রতীক।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মানিকগঞ্জে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা’ সমাপ্ত, উৎসবে মুখর তিন দিন

আপডেট সময় ০৯:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ২০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ‘জামাই মেলা’ সম্পন্ন হয়েছে। দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি বছর আয়োজিত হলেও, এবার রমজানের কারণে ঈদের তিন দিন পর গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী এ মেলা। শনিবার মেলা শেষ হয় স্থানীয় স্কুল মাঠে।

পয়লা ইউনিয়নের বাঙ্গালা মুক্তা সংঘের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মেলার প্রথম দিনটি ‘জামাই মেলা’, দ্বিতীয় দিন ‘বৌ মেলা’ এবং তৃতীয় দিন ‘সার্বজনীন মেলা’ নামে পরিচিত। স্থানীয়ভাবে এটি দোল মেলা, বাঙ্গালার মেলা বা মাছের মেলা নামেও খ্যাত।

মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল জামাইদের মাছ কেনার প্রতিযোগিতা। মেয়ে ও জামাইদের শ্বশুরবাড়ি আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেখানে জামাইরা বড় মাছ, পান-সুপারি ও মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। পরে শ্বশুরবাড়িতে আপ্যায়নের পাশাপাশি জামাইদের মোবাইল ফোন, গরু, মহিষ, স্বর্ণালংকারসহ নানা পুরস্কার দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় দিনের ‘বৌ মেলায়’ নববধূ ও পরিবারের সদস্যরা কেনাকাটা করেন। মেলায় মাছ, আসবাবপত্র, বাঁশ-বেতের সামগ্রী, মিষ্টি, কসমেটিকস ও মুখরোচক খাবারের দোকানে ছিল ভিড়। বিশেষ করে ১ থেকে ২০ কেজি ওজনের বড় মাছের চাহিদা ছিল তুঙ্গে।

মেলার শেষ দিনে কিশোর ও প্রবীণদের মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, বিজয়ীদের মোবাইল ফোন, দেয়াল ঘড়ি ও অন্যান্য পুরস্কার দেওয়া হয়। স্থানীয়দের মতে, এই মেলা গ্রামীণ সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির অনন্য প্রতীক।