তৈরি পোশাকের রপ্তানি আদেশে ধাক্কা: ক্রেতারা স্থগিত করছে কার্যক্রম

- আপডেট সময় ১০:১০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য প্রবেশে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন পরিস্থিতি নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু করেছে। শুল্কের বাড়তি খরচ কে বহন করবে, তা নিয়ে কিছু ক্রেতা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও অনেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
ইতোমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান রপ্তানি আদেশ স্থগিত করেছে। তবে বেশিরভাগ ক্রেতা এখনো নীরব। যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক ছুটির পর বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার থেকে ক্রেতাদের স্পষ্ট অবস্থান জানা যেতে পারে।
ইতোমধ্যে জাহাজে তোলা পণ্যের ক্ষেত্রে নতুন শুল্কহার না পুরোনো হারে ছাড় হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বাড়তি শুল্ক ক্রেতা না রপ্তানিকারক দেবেন, এ নিয়ে উদ্বেগে আছেন উদ্যোক্তারা। পণ্যে লাগানো ‘প্রাইস ট্যাগ’
পুরোনো শুল্কহার অনুযায়ী হলেও যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর নতুন হার কার্যকর হবে। এতে ‘প্রাইস ট্যাগ’ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে, যা কীভাবে হবে তা নিয়ে রপ্তানিকারকরা চিন্তিত। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পৌঁছাতে গড়ে ৩৫ দিন লাগে।
চট্টগ্রামভিত্তিক ওয়েল গ্রুপের পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আতঙ্কে আছি।
রপ্তানি আদেশ ও শিপমেন্ট হওয়া পণ্যে ক্রেতারা চুক্তির চেয়ে কম মূল্য বা ডিসকাউন্ট দাবি করতে পারে। তা হলে আমরা আর্থিক সংকটে পড়ব।’ তিনি জানান, কিছু মার্কিন ক্রেতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রপ্তানি আদেশের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে বিপাকে ফেলেছে। রপ্তানি আদেশ স্থগিত ও ডিসকাউন্টের শঙ্কা রয়েছে। পুরোনো ‘প্রাইস ট্যাগ’ নিয়ে পণ্য গ্রহণে ক্রেতাদের অনীহা হলে দেশে অর্থ ফিরবে না।
ডিজাইনটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি মার্কিন ক্রেতাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেছেন। ক্রেতারা অফিস খুললে তাদের অবস্থান জানাবেন। মঙ্গলবার থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি মনে করেন, সরকার কৌশলী পদক্ষেপ নিলে শুল্ক সংকট মোকাবিলা সম্ভব।
রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, তাদের মার্কিন ক্রেতারা এখনো কিছু জানায়নি। এই শুল্ক বৃদ্ধি ক্রেতাদেরও বিভ্রান্ত করেছে।
একজন রপ্তানিকারক জানান, তাঁর একটি অর্ডার ২০ এপ্রিলের মধ্যে তৈরি হওয়ার কথা। নতুন শুল্কের কারণে তিনি ক্রেতার সঙ্গে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে পণ্যের খরচ বাড়বে, যা ক্রেতা ও রপ্তানিকারকের মধ্যে ভাগাভাগি বা ডিসকাউন্টের মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।