০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষায় আরও ১০০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এক সময় বাংলাদেশি পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধা দিলেও তা প্রত্যাহারের পর এখন ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে গড়ে মাত্র ৬.১০ শতাংশ শুল্ক আদায় করছে। কিছু পণ্যে এই হার আরও কম—যেমন কাঁচা তুলা ও লোহার স্ক্র্যাপে যথাক্রমে শূন্য ও এক শতাংশ।

বাংলাদেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় তুলা আমদানিকারক দেশ, যা মূলত পোশাক শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির সময় বাংলাদেশের পণ্যে অধিক হারে শুল্ক আরোপ করায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত তালিকায় রয়েছে ১৯০টি পণ্য। নতুন করে আরও ১০০টি পণ্যকে এই তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর সই হওয়া টিকফা (TICFA) চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ও বিনিয়োগে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে যৌথভাবে সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বাণিজ্য শাখার সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং পারস্পরিক বাণিজ্য আরও লাভজনক করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ সরকার আমদানি নীতি হালনাগাদ, কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ এবং ট্রেডমার্ক ও পেটেন্ট সুরক্ষাসহ নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ভবিষ্যতের বাণিজ্য সহযোগিতাকে আরও জোরালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষায় আরও ১০০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এক সময় বাংলাদেশি পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধা দিলেও তা প্রত্যাহারের পর এখন ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে গড়ে মাত্র ৬.১০ শতাংশ শুল্ক আদায় করছে। কিছু পণ্যে এই হার আরও কম—যেমন কাঁচা তুলা ও লোহার স্ক্র্যাপে যথাক্রমে শূন্য ও এক শতাংশ।

বাংলাদেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় তুলা আমদানিকারক দেশ, যা মূলত পোশাক শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির সময় বাংলাদেশের পণ্যে অধিক হারে শুল্ক আরোপ করায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত তালিকায় রয়েছে ১৯০টি পণ্য। নতুন করে আরও ১০০টি পণ্যকে এই তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর সই হওয়া টিকফা (TICFA) চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ও বিনিয়োগে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে যৌথভাবে সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বাণিজ্য শাখার সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং পারস্পরিক বাণিজ্য আরও লাভজনক করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ সরকার আমদানি নীতি হালনাগাদ, কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ এবং ট্রেডমার্ক ও পেটেন্ট সুরক্ষাসহ নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ভবিষ্যতের বাণিজ্য সহযোগিতাকে আরও জোরালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে।