০১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সব হাসপাতালে হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, স্বল্প দামে মিলবে বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ওষুধ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

প্রথমবারের মতো সারা দেশে সরকারি ফার্মেসি চালু হচ্ছে। সাধারণত ব্যবহৃত ২৫০ ধরনের ওষুধ পাওয়া যাবে তিন ভাগের এক ভাগ দামে, এবং ওষুধের গুণগত মান থাকবে সর্বোচ্চ। প্রাথমিকভাবে সব সরকারি হাসপাতালের চত্বরে এই ফার্মেসি স্থাপন করা হবে। 

দেশে কয়েক কোটি মানুষ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন। একজন রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ের গড়ে ৬৪ ভাগ ব্যয় হয় ওষুধ কিনতে। ফলে, ওষুধ কেনার জন্য অনেক রোগী প্রতি বছর দারিদ্র্যের মুখে পড়েন।

এই রোগীদের কথা বিবেচনায় এনে স্বাস্থ্য বিভাগ এবার তিন ভাগের এক ভাগ দামে ওষুধ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে ২৫০ ধরনের ওষুধ, যা দিয়ে ৮৫ ভাগ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, “ল্যাব সার্ভিস আছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আছে, কিন্তু ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস কোথাও নেই। এটি একটি নতুন ব্যবস্থা, যা চালু করতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে এটি শুরু হবে।”

প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় করে। এখন থেকে বাজেট বাড়ানো হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বেশি ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হবে।

সরকারি ফার্মেসির বড় চ্যালেঞ্জ হলো ওষুধ চুরি রোধ করা। তাই, পুরো ব্যবস্থাটি ডিজিটাল করার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সব হাসপাতালে হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, স্বল্প দামে মিলবে বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ওষুধ

আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

প্রথমবারের মতো সারা দেশে সরকারি ফার্মেসি চালু হচ্ছে। সাধারণত ব্যবহৃত ২৫০ ধরনের ওষুধ পাওয়া যাবে তিন ভাগের এক ভাগ দামে, এবং ওষুধের গুণগত মান থাকবে সর্বোচ্চ। প্রাথমিকভাবে সব সরকারি হাসপাতালের চত্বরে এই ফার্মেসি স্থাপন করা হবে। 

দেশে কয়েক কোটি মানুষ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন। একজন রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ের গড়ে ৬৪ ভাগ ব্যয় হয় ওষুধ কিনতে। ফলে, ওষুধ কেনার জন্য অনেক রোগী প্রতি বছর দারিদ্র্যের মুখে পড়েন।

এই রোগীদের কথা বিবেচনায় এনে স্বাস্থ্য বিভাগ এবার তিন ভাগের এক ভাগ দামে ওষুধ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে ২৫০ ধরনের ওষুধ, যা দিয়ে ৮৫ ভাগ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, “ল্যাব সার্ভিস আছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আছে, কিন্তু ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস কোথাও নেই। এটি একটি নতুন ব্যবস্থা, যা চালু করতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে এটি শুরু হবে।”

প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় করে। এখন থেকে বাজেট বাড়ানো হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বেশি ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হবে।

সরকারি ফার্মেসির বড় চ্যালেঞ্জ হলো ওষুধ চুরি রোধ করা। তাই, পুরো ব্যবস্থাটি ডিজিটাল করার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।