০২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মার্চ ফর গাজা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাজধানী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্ববৃহৎ এ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে। সজাগ রয়েছেন গোয়েন্দারাও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমাবেশ ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

এ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পর্যাপ্ত।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি পৃথক ট্রাফিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে গোয়েন্দারা সজাগ রয়েছেন। পাশাপাশি কর্মসূচির নিরাপত্তার জন্য ডিবির সাইবার টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। সুন্দরভাবে যেন এই কর্মসূচি সফল হতে পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলামোটর থেকে আগতরা রমনা গেট দিয়ে (শাহবাগ হয়ে), কাকরাইল মোড় থেকে আগতরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবেন। এছাড়া জিরো পয়েন্ট ও বকশীবাজার থেকে আগতরা টিএসসি গেট দিয়ে (দোয়েল চত্বর হয়ে), নীলক্ষেত মোড় থেকে আগতরা টিএসসি গেট দিয়ে (ভিসি চত্বর হয়ে) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবেন।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো:

১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখতে এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

৪. দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্চ ফর গাজা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাজধানী

আপডেট সময় ১২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্ববৃহৎ এ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে। সজাগ রয়েছেন গোয়েন্দারাও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমাবেশ ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

এ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পর্যাপ্ত।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি পৃথক ট্রাফিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে গোয়েন্দারা সজাগ রয়েছেন। পাশাপাশি কর্মসূচির নিরাপত্তার জন্য ডিবির সাইবার টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। সুন্দরভাবে যেন এই কর্মসূচি সফল হতে পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলামোটর থেকে আগতরা রমনা গেট দিয়ে (শাহবাগ হয়ে), কাকরাইল মোড় থেকে আগতরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবেন। এছাড়া জিরো পয়েন্ট ও বকশীবাজার থেকে আগতরা টিএসসি গেট দিয়ে (দোয়েল চত্বর হয়ে), নীলক্ষেত মোড় থেকে আগতরা টিএসসি গেট দিয়ে (ভিসি চত্বর হয়ে) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবেন।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো:

১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখতে এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

৪. দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।