০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পাগলা মসজিদের ব্যাংকে ৮০ কোটি টাকা: দানবাক্সে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১২:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) মসজিদের দানবাক্স খুলে সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে, যা এ যাবতকালের রেকর্ড।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, ১১টি দানবাক্স থেকে ২৮ বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পাওয়া গেছে বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। সেনা, পুলিশ ও আনসারের কঠোর নিরাপত্তায় ৩৯৪ জনের একটি দল টাকা গণনা করে রূপালী ব্যাংকে জমা দেন।

প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্স খোলা হয়, যেখানে নিয়মিত কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যায়। এই তহবিল থেকে অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা, এতিম মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের খরচ, মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও আনসার সদস্যদের বেতন প্রদান করা হয়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ফৌজিয়া খান বলেন, “জমাকৃত অর্থ থেকে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক নামাজের শেড নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।” নতুন এই কমপ্লেক্সে একসাথে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন, যার মধ্যে নারীদের জন্য রয়েছে ৫ হাজার স্থান।

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ২০০ বছর পুরনো এই মসজিদটি ১৯৭৯ সাল থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পাগলা মসজিদের ব্যাংকে ৮০ কোটি টাকা: দানবাক্সে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ সংগ্রহ

আপডেট সময় ১২:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) মসজিদের দানবাক্স খুলে সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে, যা এ যাবতকালের রেকর্ড।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, ১১টি দানবাক্স থেকে ২৮ বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পাওয়া গেছে বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। সেনা, পুলিশ ও আনসারের কঠোর নিরাপত্তায় ৩৯৪ জনের একটি দল টাকা গণনা করে রূপালী ব্যাংকে জমা দেন।

প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্স খোলা হয়, যেখানে নিয়মিত কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যায়। এই তহবিল থেকে অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা, এতিম মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের খরচ, মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও আনসার সদস্যদের বেতন প্রদান করা হয়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ফৌজিয়া খান বলেন, “জমাকৃত অর্থ থেকে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক নামাজের শেড নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।” নতুন এই কমপ্লেক্সে একসাথে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন, যার মধ্যে নারীদের জন্য রয়েছে ৫ হাজার স্থান।

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ২০০ বছর পুরনো এই মসজিদটি ১৯৭৯ সাল থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে।