০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখ, সম্প্রীতির বর্ণিল ছটায় মিলন উৎসব: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:০০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির অনন্য প্রতীক হিসেবে পহেলা বৈশাখকে চিহ্নিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “নানা ধর্ম, মত ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে আমরা একই পরিবারের সদস্য। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি ও সমতলের জনগোষ্ঠী—সবাই মিলে তৈরি করেছি আমাদের বর্ণিল ঐতিহ্য।”

আজ রবিবার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে ‘সম্প্রীতি ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি দেশবাসীকে নিজস্ব রীতি ও সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই দিন আমাদের ঐক্য ও সহাবস্থানের বার্তা বহন করে।” বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও সাম্যের বাণী স্মরণ করেন এবং বলেন, “বৌদ্ধধর্ম সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করে। আমাদের সম্প্রীতি ভবন এই আদর্শকেই বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে।”

অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানান এবং অতীশ দীপঙ্করের মতো বৌদ্ধ পণ্ডিতদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তাঁর প্রত্যাশা, “সম্প্রীতি ভবন বাংলাদেশের সহিষ্ণুতা ও মানবতার গৌরবকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবে।”

শেষে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “মহামানব বুদ্ধের মতোই আমাদের অঙ্গীকার হোক—কাউকে শান্তি ও সুখ থেকে বঞ্চিত না করা।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পহেলা বৈশাখ, সম্প্রীতির বর্ণিল ছটায় মিলন উৎসব: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০১:০০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির অনন্য প্রতীক হিসেবে পহেলা বৈশাখকে চিহ্নিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “নানা ধর্ম, মত ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে আমরা একই পরিবারের সদস্য। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি ও সমতলের জনগোষ্ঠী—সবাই মিলে তৈরি করেছি আমাদের বর্ণিল ঐতিহ্য।”

আজ রবিবার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে ‘সম্প্রীতি ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি দেশবাসীকে নিজস্ব রীতি ও সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই দিন আমাদের ঐক্য ও সহাবস্থানের বার্তা বহন করে।” বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও সাম্যের বাণী স্মরণ করেন এবং বলেন, “বৌদ্ধধর্ম সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করে। আমাদের সম্প্রীতি ভবন এই আদর্শকেই বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে।”

অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানান এবং অতীশ দীপঙ্করের মতো বৌদ্ধ পণ্ডিতদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তাঁর প্রত্যাশা, “সম্প্রীতি ভবন বাংলাদেশের সহিষ্ণুতা ও মানবতার গৌরবকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবে।”

শেষে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “মহামানব বুদ্ধের মতোই আমাদের অঙ্গীকার হোক—কাউকে শান্তি ও সুখ থেকে বঞ্চিত না করা।”