০২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

রমনা বটমূলে বোমা হামলার বিচার ২৪ বছরেও শেষ হয়নি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ২৪ বছর আগে রাজধানীর রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলার মধ্যে বিচারিক আদালতে হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষে বর্তমানে হাইকোর্টে রয়েছে।

হাইকোর্ট যেকোনো দিন মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। তবে তিন বছর আগে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেও আর বিচার এগোয়নি। একের পর এক তারিখ পরিবর্তন করা হলেও আসামিদের আদালতে হাজির না করায় মামলাটির বিচারকাজ আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে আটকে আছে। বর্তমানে এই মামলাটি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিরা বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার থাকায় তাদের আদালতে হাজির করা যায়নি। এজন্য আদালত এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ২৪ এপ্রিল ফের দিন ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

মামলাটিতে মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ওই বছরের তিন এপ্রিল আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন সাত আসামি। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি। ওই দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। পরে কোনো কার্যক্রম ছাড়াই ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালত মামলাটি আগের আদালতে ফেরত পাঠান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে আগেই পুঁতে রাখা দুটি বোমা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নৃশংস ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকে। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওই দিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করে।

২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। ফলে বিস্ফোরক আইনের মামলা থেকে তার নাম বাদ যায়।

বর্তমানে এই মামলায় মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। এই আসামিরা হলেন মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। তাদের মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন। অন্যরা কারাগারে আটক।

এদিকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে ওই দিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি। এর আগে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরপর ওই বছরের ১৪ মার্চ চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ঠিক করা হয়। পরে আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এরপর মামলাটি যায় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে। সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পরও মামলাটির শুনানি হয়নি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি বলেন, ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিতে আমরা বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি। প্রত্যাশা করছি, সর্বোচ্চ সাজা রায়ে বহাল থাকবে।

বিস্ফোরকদ্রব্য মামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান বলেন, গত অক্টোবরে আমরা নিয়োগ পেয়েছি। ডিসেম্বরে ছিল অবকাশ। আমরা রাষ্ট্রীয় দিকনির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের পিপি স্যারকে বিষয়টি ইনফর্ম করছি। তিনি যে দিকনির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী কাজ করব।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, এ মামলার বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল নই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

রমনা বটমূলে বোমা হামলার বিচার ২৪ বছরেও শেষ হয়নি

আপডেট সময় ১২:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ২৪ বছর আগে রাজধানীর রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলার মধ্যে বিচারিক আদালতে হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষে বর্তমানে হাইকোর্টে রয়েছে।

হাইকোর্ট যেকোনো দিন মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। তবে তিন বছর আগে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেও আর বিচার এগোয়নি। একের পর এক তারিখ পরিবর্তন করা হলেও আসামিদের আদালতে হাজির না করায় মামলাটির বিচারকাজ আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে আটকে আছে। বর্তমানে এই মামলাটি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিরা বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার থাকায় তাদের আদালতে হাজির করা যায়নি। এজন্য আদালত এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ২৪ এপ্রিল ফের দিন ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

মামলাটিতে মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ওই বছরের তিন এপ্রিল আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন সাত আসামি। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি। ওই দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। পরে কোনো কার্যক্রম ছাড়াই ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালত মামলাটি আগের আদালতে ফেরত পাঠান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে আগেই পুঁতে রাখা দুটি বোমা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নৃশংস ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকে। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওই দিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করে।

২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। ফলে বিস্ফোরক আইনের মামলা থেকে তার নাম বাদ যায়।

বর্তমানে এই মামলায় মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। এই আসামিরা হলেন মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। তাদের মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন। অন্যরা কারাগারে আটক।

এদিকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে ওই দিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি। এর আগে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরপর ওই বছরের ১৪ মার্চ চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ঠিক করা হয়। পরে আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এরপর মামলাটি যায় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে। সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পরও মামলাটির শুনানি হয়নি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি বলেন, ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিতে আমরা বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি। প্রত্যাশা করছি, সর্বোচ্চ সাজা রায়ে বহাল থাকবে।

বিস্ফোরকদ্রব্য মামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান বলেন, গত অক্টোবরে আমরা নিয়োগ পেয়েছি। ডিসেম্বরে ছিল অবকাশ। আমরা রাষ্ট্রীয় দিকনির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের পিপি স্যারকে বিষয়টি ইনফর্ম করছি। তিনি যে দিকনির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী কাজ করব।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, এ মামলার বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল নই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।