০২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মুন্সিগঞ্জে চৈত্রসংক্রান্তিতে বর্ণাঢ্য লালকাছ-নীলকাছ উৎসব

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী লালকাছ ও নীলকাছ নৃত্য দিয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপিত হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে নীলকাছ (শিববড়াই) এবং বিকেলে লালকাছ নৃত্যের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন গ্রামে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।

উৎসবে নীলকাছ অংশে একজন মহাদেব ও অন্যজন পার্বতীর ভূমিকায় সজ্জিত হয়ে ঢাক-ঢোলের তালে নৃত্য পরিবেশন করেন। অন্যদিকে লালকাছ অংশে ত্রিশুল ও তলোয়ার হাতে রাঙা-কমলা রং মাখা শিবের দল গ্রামে গ্রামে ঘুরে নৃত্য করেন।

স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, শিব-পার্বতীর লীলা প্রচারের উদ্দেশ্যে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকালে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা, দিনভর কাছ নাচনের পর সন্ধ্যায় হরগৌরী পূজার মাধ্যমে শেষ হয় উৎসব। কখনো কখনো পরদিন চরক পূজার আয়োজনও করা হয়।

উৎসবে অংশ নেওয়া নারীরা জানান, শিবকে দুধ, ফল ও জল দিয়ে বরণ করে তারা স্বামী ও সংসারের মঙ্গল কামনা করেন। স্থানীয়রা বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও প্রাণবন্তভাবে আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখলাম।”

জেলার বিভিন্ন গ্রামের রাস্তায় রঙিন এ নৃত্যের দৃশ্য দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। উৎসবের এ আয়োজন হিন্দু সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রকাশ বলে মনে করেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মুন্সিগঞ্জে চৈত্রসংক্রান্তিতে বর্ণাঢ্য লালকাছ-নীলকাছ উৎসব

আপডেট সময় ০১:৩০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

মুন্সিগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী লালকাছ ও নীলকাছ নৃত্য দিয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপিত হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে নীলকাছ (শিববড়াই) এবং বিকেলে লালকাছ নৃত্যের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন গ্রামে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।

উৎসবে নীলকাছ অংশে একজন মহাদেব ও অন্যজন পার্বতীর ভূমিকায় সজ্জিত হয়ে ঢাক-ঢোলের তালে নৃত্য পরিবেশন করেন। অন্যদিকে লালকাছ অংশে ত্রিশুল ও তলোয়ার হাতে রাঙা-কমলা রং মাখা শিবের দল গ্রামে গ্রামে ঘুরে নৃত্য করেন।

স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, শিব-পার্বতীর লীলা প্রচারের উদ্দেশ্যে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকালে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা, দিনভর কাছ নাচনের পর সন্ধ্যায় হরগৌরী পূজার মাধ্যমে শেষ হয় উৎসব। কখনো কখনো পরদিন চরক পূজার আয়োজনও করা হয়।

উৎসবে অংশ নেওয়া নারীরা জানান, শিবকে দুধ, ফল ও জল দিয়ে বরণ করে তারা স্বামী ও সংসারের মঙ্গল কামনা করেন। স্থানীয়রা বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও প্রাণবন্তভাবে আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখলাম।”

জেলার বিভিন্ন গ্রামের রাস্তায় রঙিন এ নৃত্যের দৃশ্য দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। উৎসবের এ আয়োজন হিন্দু সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রকাশ বলে মনে করেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা।