০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বিয়ের ফাঁদে থাই নারী, ফেনীতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

ফেনীতে থাইল্যান্ডের এক নাগরিককে বিয়ের প্রলোভনে এনে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মোখসুদুর রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আদালতে ধর্ষণ-সহ বিভিন্ন অভিযোগে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনি ২০২০ সাল থেকে হংকংয়ে একটি মুদি দোকান চালান। সেখানেই মোখসুদুরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মোখসুদুর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একত্রে ব্যবসা শুরু করেন। পরে তিনি ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার নাম করে ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার এবং কিছু স্বর্ণালঙ্কার নেন। কিছুদিন পর মোখসুদুর হংকংয়ে ভিসা জটিলতায় কারাবন্দি হলে, ভুক্তভোগীই তাকে মুক্ত করতে সহায়তা করেন।

মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে মোখসুদুর গত বছরের ২২ মার্চ ও ১২ অক্টোবর দুই দফায় বিয়ের কথা বলে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল ওই নারী আবার বাংলাদেশে এসে মোখসুদুরের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়।

এরপর ১৪ এপ্রিল ভুক্তভোগী ফেনী মডেল থানায় মোখসুদুর ও দুই অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে। এখন বিচারের অপেক্ষায় এই নারী, যার বিশ্বাস ও ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে তাকে বারবার ঠকানো হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়ের ফাঁদে থাই নারী, ফেনীতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার

আপডেট সময় ০১:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ফেনীতে থাইল্যান্ডের এক নাগরিককে বিয়ের প্রলোভনে এনে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মোখসুদুর রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আদালতে ধর্ষণ-সহ বিভিন্ন অভিযোগে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনি ২০২০ সাল থেকে হংকংয়ে একটি মুদি দোকান চালান। সেখানেই মোখসুদুরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মোখসুদুর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একত্রে ব্যবসা শুরু করেন। পরে তিনি ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার নাম করে ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার এবং কিছু স্বর্ণালঙ্কার নেন। কিছুদিন পর মোখসুদুর হংকংয়ে ভিসা জটিলতায় কারাবন্দি হলে, ভুক্তভোগীই তাকে মুক্ত করতে সহায়তা করেন।

মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে মোখসুদুর গত বছরের ২২ মার্চ ও ১২ অক্টোবর দুই দফায় বিয়ের কথা বলে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল ওই নারী আবার বাংলাদেশে এসে মোখসুদুরের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়।

এরপর ১৪ এপ্রিল ভুক্তভোগী ফেনী মডেল থানায় মোখসুদুর ও দুই অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে। এখন বিচারের অপেক্ষায় এই নারী, যার বিশ্বাস ও ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে তাকে বারবার ঠকানো হয়েছে।