১২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

কারিগরি শিক্ষার্থীরা বললেন ‘বৈঠকে সন্তুষ্ট নই, আসছে কঠোর আন্দোলনের ডাক’

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

ছয় দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

তবে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আলোচনায় তাঁরা সন্তুষ্ট নন এবং দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির দিকে এগোবেন।

বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের পক্ষে প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম বলেন, “আমরা আজ অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি।

আজকের বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলমান থাকবে এবং আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।”

এর আগে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে এ কর্মসূচিতে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হন এবং বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করেন।

ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ছয় দফা মূল দাবি হলো:
১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল।
২. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের জন্য বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।
৩. কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করা।
৪. প্রতিটি বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
৫. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষকের পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সুযোগ।
৬. প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ।

বুধবার বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শোয়াইব আহমাদ খান।

তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন, পদোন্নতিতে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের’ কোনো কোটা রাখা হবে না। তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, মৌখিক আশ্বাসে নয়, তাঁরা চান লিখিত প্রতিশ্রুতি ও দাবি পূরণের নির্ধারিত সময়সীমা।

বৃহস্পতিবার সারাদেশে রেলপথ অবরোধ ও অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে এই কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করে আলোচনায় অংশ নেন তারা।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কারিগরি শিক্ষার্থীরা বললেন ‘বৈঠকে সন্তুষ্ট নই, আসছে কঠোর আন্দোলনের ডাক’

আপডেট সময় ০৪:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

ছয় দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

তবে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আলোচনায় তাঁরা সন্তুষ্ট নন এবং দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির দিকে এগোবেন।

বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের পক্ষে প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম বলেন, “আমরা আজ অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি।

আজকের বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলমান থাকবে এবং আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।”

এর আগে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে এ কর্মসূচিতে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হন এবং বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করেন।

ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ছয় দফা মূল দাবি হলো:
১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল।
২. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের জন্য বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।
৩. কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করা।
৪. প্রতিটি বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
৫. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষকের পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সুযোগ।
৬. প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ।

বুধবার বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শোয়াইব আহমাদ খান।

তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন, পদোন্নতিতে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের’ কোনো কোটা রাখা হবে না। তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, মৌখিক আশ্বাসে নয়, তাঁরা চান লিখিত প্রতিশ্রুতি ও দাবি পূরণের নির্ধারিত সময়সীমা।

বৃহস্পতিবার সারাদেশে রেলপথ অবরোধ ও অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে এই কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করে আলোচনায় অংশ নেন তারা।