১২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ঘুস চেয়ে দুদক কর্মকর্তা বরখাস্ত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ায় ঘুস গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগে সুদীপ কুমার চৌধুরী নামের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক উপ-সহকারী পরিচালককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবিদুল মোমেন সই করা আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সুদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বগুড়ায় কর্মরত অবস্থায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেনের সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের সময় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে ঘুস দাবি করেন। তিনি সরাসরি কিছু অর্থও গ্রহণ করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, সুদীপ সাত লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। এর মধ্যে আলমগীর হোসেনের খালাতো বোন সুমাইয়া শিরিনের মাধ্যমে বগুড়া বারের আইনজীবী কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ হাজার এবং আইনজীবী সৈয়দ আসিফুর রহমানের মাধ্যমে আরও এক লাখ টাকা গ্রহণ করেন।

দুদকের ফরেনসিক ল্যাব এসব অর্থ লেনদেনের অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। দুদক বলছে, সুদীপের এ কর্মকাণ্ড সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

এ ঘটনায় সুদীপ কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে অভিযোগপত্র ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। তিনি ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন এবং ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তা গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর কিছুদিন পর ৯ এপ্রিল পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের বোন রুমাইয়া শিরিন সংবাদ সম্মেলন করে সুদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘুস চেয়ে দুদক কর্মকর্তা বরখাস্ত

আপডেট সময় ০৪:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বগুড়ায় ঘুস গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগে সুদীপ কুমার চৌধুরী নামের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক উপ-সহকারী পরিচালককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবিদুল মোমেন সই করা আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সুদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বগুড়ায় কর্মরত অবস্থায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেনের সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের সময় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে ঘুস দাবি করেন। তিনি সরাসরি কিছু অর্থও গ্রহণ করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, সুদীপ সাত লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। এর মধ্যে আলমগীর হোসেনের খালাতো বোন সুমাইয়া শিরিনের মাধ্যমে বগুড়া বারের আইনজীবী কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ হাজার এবং আইনজীবী সৈয়দ আসিফুর রহমানের মাধ্যমে আরও এক লাখ টাকা গ্রহণ করেন।

দুদকের ফরেনসিক ল্যাব এসব অর্থ লেনদেনের অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। দুদক বলছে, সুদীপের এ কর্মকাণ্ড সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

এ ঘটনায় সুদীপ কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে অভিযোগপত্র ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। তিনি ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন এবং ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তা গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর কিছুদিন পর ৯ এপ্রিল পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের বোন রুমাইয়া শিরিন সংবাদ সম্মেলন করে সুদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন।