০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

টাইগারদের হঠাৎ ব্যাটিং ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:৫১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

সিলেট টেস্টের সেশনে যেন একেবারেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। ১২৩ রানে ছিল তিন উইকেট। হঠাৎ খেই হারিয়ে ১৪৬ রানে পতন হয়েছে ৭ উইকেটের। ৫০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান করে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ৭০ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫ উইকেটে। এতে ২০০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে স্বাগতিকরা। জাকের আলী অনিক ১০ ও হাসান মাহমুদ অপরাজিত আছেন চার রানে।

দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন। বল ব্যাটে আসছে, সেটিও বোঝা যায়। দুই-তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান এবং উইকেটে সেটও হন তারা। তবে টিকতে পারেননি দুজনের কেউই। আউট হন মাত্র এক রানের ব্যবধানে।

দলীয় ৩১ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ে পেসার ভিক্টর নুয়াইসির ডেলিবারিতে ব্যাটের বাইরের কাণায় বল ছুঁইয়ে গালি অঞ্চলে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ক্যাচ হন সাদমান। ২৩ বলে ১২ রান করেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।

১ রান যোগ হতেই উইকেট বিলিয়ে দেন আরেক ওপেনার জয়ও। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে তাকেও ফেরান নুয়াইসি। সাদমানের মতো জয়ও ব্যাটের বাইরের কাণায় বল লাগিয়ে উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভোর হাতে ধরা পড়েন। ৩৫ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার। অর্থাৎ দলীয় ৩২ রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে কিছুটা এগিয়ে দেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৯৮ রানের মাথায় আউট হন শান্ত। ৬৯ বলে ৪০ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর মুমিনুলের সঙ্গে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের জুটি হয় মাত্র ২৫ রানের।

১৮ বলে মাত্র চার রান করে ফেরেন মুশফিক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে শর্ট মিড উইকেটে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার।

মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুমিনুলও। মাসাকাদজার বলে আউট হওয়ার আগেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি করে নেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১০৫ বলে ৫৬ রান (৮ চার ও ১ ছক্কা) করেন তিনি।

নতুন ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ হন মুজারাবানির শিকার। চার বলে এক রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মেহেদী। দলীয় ১৩৭ রানে পতন হয় ছয় উইকেটের।

আট ব্যাটার তাইজুল ইসলাম টেকেন ১৯ বল। তবে রান করেন মাত্র তিন। তিনিও হন মাসাকাদজার শিকার। ইনসাইড এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তাইজুল। ১৪৬ রানে সাত উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টাইগারদের হঠাৎ ব্যাটিং ধস

আপডেট সময় ০৪:৫১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সিলেট টেস্টের সেশনে যেন একেবারেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। ১২৩ রানে ছিল তিন উইকেট। হঠাৎ খেই হারিয়ে ১৪৬ রানে পতন হয়েছে ৭ উইকেটের। ৫০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান করে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ৭০ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫ উইকেটে। এতে ২০০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে স্বাগতিকরা। জাকের আলী অনিক ১০ ও হাসান মাহমুদ অপরাজিত আছেন চার রানে।

দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন। বল ব্যাটে আসছে, সেটিও বোঝা যায়। দুই-তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান এবং উইকেটে সেটও হন তারা। তবে টিকতে পারেননি দুজনের কেউই। আউট হন মাত্র এক রানের ব্যবধানে।

দলীয় ৩১ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ে পেসার ভিক্টর নুয়াইসির ডেলিবারিতে ব্যাটের বাইরের কাণায় বল ছুঁইয়ে গালি অঞ্চলে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ক্যাচ হন সাদমান। ২৩ বলে ১২ রান করেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।

১ রান যোগ হতেই উইকেট বিলিয়ে দেন আরেক ওপেনার জয়ও। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে তাকেও ফেরান নুয়াইসি। সাদমানের মতো জয়ও ব্যাটের বাইরের কাণায় বল লাগিয়ে উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভোর হাতে ধরা পড়েন। ৩৫ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার। অর্থাৎ দলীয় ৩২ রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে কিছুটা এগিয়ে দেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৯৮ রানের মাথায় আউট হন শান্ত। ৬৯ বলে ৪০ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর মুমিনুলের সঙ্গে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের জুটি হয় মাত্র ২৫ রানের।

১৮ বলে মাত্র চার রান করে ফেরেন মুশফিক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে শর্ট মিড উইকেটে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার।

মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুমিনুলও। মাসাকাদজার বলে আউট হওয়ার আগেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি করে নেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১০৫ বলে ৫৬ রান (৮ চার ও ১ ছক্কা) করেন তিনি।

নতুন ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ হন মুজারাবানির শিকার। চার বলে এক রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মেহেদী। দলীয় ১৩৭ রানে পতন হয় ছয় উইকেটের।

আট ব্যাটার তাইজুল ইসলাম টেকেন ১৯ বল। তবে রান করেন মাত্র তিন। তিনিও হন মাসাকাদজার শিকার। ইনসাইড এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তাইজুল। ১৪৬ রানে সাত উইকেট হারায় বাংলাদেশ।