ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আর নেই

- আপডেট সময় ০৩:৪০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
- / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে
পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। তিনি ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। সোমবার (২১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্টায় নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।
তিনি ছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশ থেকে আসা প্রথম পোপ। অনেক কিছুই প্রথমবার করলেও ক্যাথলিক চার্চের পোপ হওয়ার পর ফ্রান্সিস কখনো চার্চের সংস্কার কার্যক্রম বন্ধ করেননি। এরপরও তিনি সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন পুরোনোকে আঁকড়ে ধরা ঐহিত্যবাদীদের কাছে। খবর বিবিসির।
৭৪১ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া তৃতীয় গ্রেগরি মারা যাওয়ার পর থেকে রোমে ইউরোপের বাইরে আর কোনো বিশপ ছিলনা। সেন্ট পিটারের সিংহাসনে নির্বাচিত প্রথম জেসুইটও ছিলেন তিনি। ঐতিহাসিকভাবেই জেসুইটদের রোম সন্দেহের চোখে দেখত। জেসুইট বলতে এখানে যিশু খ্রিস্টের সোসাইটির সদস্যকে বুঝায় যারা অন্যদের সাহায্য করার জন্য, ন্যায়বিচার ও সবকিছুতে বিধাতাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য নিবেদিত।
ফ্রান্সিসের পূর্বসূরি ষোড়শ বেনেডিক্ট ছিলেন ১৬০০ বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণকারী প্রথম পোপ। ফলে প্রায় এক দশক সময়ের মধ্যে ভ্যাটিকান সিটিন দুইজন পোপের দেখা পেয়েছে।
৭০ বছর বয়সে ২০১৩ সালে আর্জেন্টিনার কার্ডিনাল বারগোগ্লিও পদ থেকে তিনি পোপ হিসেবে দায়িত্ব নেন। অনেক ক্যাথলিকই সে সময় ধারণা করেছিলেন যে নতুন প্রধান যাজক বা পোপ বয়সে তরুণ হবেন।
যিনি একইসাথে যৌন বিষয়ে কট্টর দৃষ্টিভঙ্গিসহ রক্ষণশীলদের এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে উদার অবস্থানের কারণে সংস্কারপন্থিদের আকৃষ্ট করতে চেয়েছিলেন।
এটা আশা করা হয়েছিল যে, তার অরক্ষণশীল চিন্তা-ভাবনা ভ্যাটিকানকে এবং এর মিশনকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
কিন্তু ভ্যাটিকান আমলাতন্ত্রের কারণে ফ্রান্সিসের কিছু সংস্কার প্রচেষ্টা প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০২২ সালে মারা যাওয়া তার পূর্বসূরি তখনও রক্ষণশীলদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন।
ফ্রান্সিস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি সবকিছু ভিন্নভাবে করবেন। এজন্য পোপের সিংহাসনে বসেননি। তিনি দাঁড়িয়ে আনানুষ্ঠানিকভাবে কার্ডিনাল গ্রহণ করেছিলেন।