ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের গোরস্থানে পাওয়া গেল হাত-পা বাঁধা নারীর মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৭৫ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ের গোরস্থানের পুরোনো কবরের ওপর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামে সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

নিহত গৃহবধূর নাম খাইরুন নাহার (৩৫)। তিনি দুওসুও ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের মোহাম্মদ তাজমুলের স্ত্রী। তার স্বামী মোহাম্মদ তাজমুল কয়েকদিন আগে কুমিল্লায় কাজ করতে গেছেন।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাইরুন নাহার খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমাতে যান। পরিবারের লোকজন সকালে তাকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বাড়ির পাশে তার পায়ের জুতা পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে অনুসরণ করে একটি পুরোনো কবরস্থানে গিয়ে মরদেহ পাওয়া যায়। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল তাকে। মরদেহের ওপর গাছের শুকনো পাতা দিয়ে ঢাকার চেষ্টাও করা হয়েছিল।

নিহতের এক আত্মীয় বলেন, বিয়ের পর থেকেই খাইরুন নাহার সন্তানের মা হতে না পারায় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। আমরা আশঙ্কা করছি, এই নির্যাতনের জের ধরেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত সরকার বলেন, মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ঠাকুরগাঁওয়ের গোরস্থানে পাওয়া গেল হাত-পা বাঁধা নারীর মরদেহ

আপডেট সময় ০৪:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের গোরস্থানের পুরোনো কবরের ওপর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামে সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

নিহত গৃহবধূর নাম খাইরুন নাহার (৩৫)। তিনি দুওসুও ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের মোহাম্মদ তাজমুলের স্ত্রী। তার স্বামী মোহাম্মদ তাজমুল কয়েকদিন আগে কুমিল্লায় কাজ করতে গেছেন।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাইরুন নাহার খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমাতে যান। পরিবারের লোকজন সকালে তাকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বাড়ির পাশে তার পায়ের জুতা পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে অনুসরণ করে একটি পুরোনো কবরস্থানে গিয়ে মরদেহ পাওয়া যায়। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল তাকে। মরদেহের ওপর গাছের শুকনো পাতা দিয়ে ঢাকার চেষ্টাও করা হয়েছিল।

নিহতের এক আত্মীয় বলেন, বিয়ের পর থেকেই খাইরুন নাহার সন্তানের মা হতে না পারায় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। আমরা আশঙ্কা করছি, এই নির্যাতনের জের ধরেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত সরকার বলেন, মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে।