০৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

এফসি ডালাসের কাছে অবিশ্বাস্য হার মিয়ামির

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

ইন্টার মিয়ামি ম্যাচের ৬৪ মিনিট পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। এরপরই এলোমেলো হয়ে গেল যেন সবকিছু। শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবেই হেরে গেছে হ্যাভিয়ের মাচেরানোর দল। মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল হজম করে তারা। মেজর লিগ সকারে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে (এমএলএস) মিয়ামিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছে এফসি ডালাস।

তবে এ ম্যাচে ছিলেন না লিওনেল মেসি। তিনি থাকলে হয়তো এমন বাজেভাবে হারতে হতো না মিয়ামিকে। অনেক ভক্তই এ কথায় সুর মেলাবেন। তাই মেসিকে বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিয়ামির ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কোচ মাচেরানো। আর্জেন্টাইন কোচ হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিয়েছেন।

এই মৌসুমের প্রথম হার ছিল এমএলএসে মায়ামির । অন্যদিকে ২৯ মার্চের পর প্রথম জয় তুলে নিলো ডালাস।

ম্যাচ শেষে মাচেরানো বলেন, আমরা প্রথম গোল খাওয়ার পর ৬০-৬৫ মিনিট ভালো খেলেছি। কিন্তু আমি খেলাটা বুঝতে ভুল করেছি এবং ছেলেদের সাহায্য করতে পারিনি। যখন ৩-১ বা ৩-২ ছিল, আমি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম, তখন প্রতিপক্ষ পাঁচজনের রক্ষণ তৈরি করে ফেলে। আমি কিছু মুভমেন্ট করেছিলাম, যা কাজে আসেনি। বাস্তবতা মেনে নিতে হয়।
এই ম্যাচে মেসির মতো লুইস সুয়ারেজ, জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসও খেলেননি।

তিন দিন আগে মিয়ামি কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রথম লেগে হেরে যায় ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের কাছে। ২-০ গোলে হেরে যাওয়া ওই ম্যাচ খেলার পর বিশ্রামে থাকেন এ চার তারকা। আগামী বুধবার দ্বিতীয় লেগ মিয়ামির ঘরের মাঠে। মূলত এই ম্যাচে ভালোভাবে পারফর্ম করে যেন পিছিয়ে পড়া মিয়ামিকে টেনে তুলতে পারেন, সেজন্যই চারজনকে বিশ্রামে পাঠান মাচেরানো।

মাচেরানো বলেন, লিও (মেসি) ভালো আছে। ভ্যাঙ্কুভারে দীর্ঘ ভ্রমণ ও সিনথেটিক ঘাসের মাঠে খেলার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাকে বিশ্রাম দেওয়ার। তবে সে আজ অনুশীলন করেছে এবং সে প্রস্তুত।

ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে খেলা একমাত্র খেলোয়াড় ম্যাক্সি ফ্যালকনকেই এই ম্যাচে প্রথম একাদশে রেখেছিল মায়ামি। গোলরক্ষক পজিশনেও পরিবর্তন আসে, অস্কার উস্তারির বদলে দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুমে শুরু করেন ড্রেক ক্যালেন্ডার।

এফসি ডালাস তাদের আগের দুই ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেনি। তবে এদিন শুরুর ৮ মিনিটেই শাক মুর গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর মিয়ামির ফাফা পিকল্ট ১৬ মিনিটে রিবাউন্ড থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।

ইকুয়েডরের ১৮ বছর বয়সী অ্যালেন ওবান্দো ২৯ মিনিটে এমএলএস ক্যারিয়ারে প্রথম গোল করে মিয়ামিকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। ৫৬ মিনিটে হেক্টর মার্টিনেজ বাঁ পায়ে দুর্দান্ত শটে ব্যবধান ৩-১ করেন।

কিন্তু ৬৪ মিনিটে ওসাজে উরহোগাইডের গোলে ডালাস ব্যবধান কমায় এবং ৬৯ মিনিটে মার্টিন্সের লম্বা পাস থেকে আন্দারসন জুলিও গোল করে ম্যাচে ৩-৩ সমতা ফেরান। ৮১ মিনিটে মিয়ামির দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন পেদ্রিনহো। এ গোলটিই ডালাসকে এনে দেয় অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের জয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

এফসি ডালাসের কাছে অবিশ্বাস্য হার মিয়ামির

আপডেট সময় ০৩:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ইন্টার মিয়ামি ম্যাচের ৬৪ মিনিট পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। এরপরই এলোমেলো হয়ে গেল যেন সবকিছু। শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবেই হেরে গেছে হ্যাভিয়ের মাচেরানোর দল। মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল হজম করে তারা। মেজর লিগ সকারে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে (এমএলএস) মিয়ামিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছে এফসি ডালাস।

তবে এ ম্যাচে ছিলেন না লিওনেল মেসি। তিনি থাকলে হয়তো এমন বাজেভাবে হারতে হতো না মিয়ামিকে। অনেক ভক্তই এ কথায় সুর মেলাবেন। তাই মেসিকে বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিয়ামির ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কোচ মাচেরানো। আর্জেন্টাইন কোচ হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিয়েছেন।

এই মৌসুমের প্রথম হার ছিল এমএলএসে মায়ামির । অন্যদিকে ২৯ মার্চের পর প্রথম জয় তুলে নিলো ডালাস।

ম্যাচ শেষে মাচেরানো বলেন, আমরা প্রথম গোল খাওয়ার পর ৬০-৬৫ মিনিট ভালো খেলেছি। কিন্তু আমি খেলাটা বুঝতে ভুল করেছি এবং ছেলেদের সাহায্য করতে পারিনি। যখন ৩-১ বা ৩-২ ছিল, আমি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম, তখন প্রতিপক্ষ পাঁচজনের রক্ষণ তৈরি করে ফেলে। আমি কিছু মুভমেন্ট করেছিলাম, যা কাজে আসেনি। বাস্তবতা মেনে নিতে হয়।
এই ম্যাচে মেসির মতো লুইস সুয়ারেজ, জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসও খেলেননি।

তিন দিন আগে মিয়ামি কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রথম লেগে হেরে যায় ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের কাছে। ২-০ গোলে হেরে যাওয়া ওই ম্যাচ খেলার পর বিশ্রামে থাকেন এ চার তারকা। আগামী বুধবার দ্বিতীয় লেগ মিয়ামির ঘরের মাঠে। মূলত এই ম্যাচে ভালোভাবে পারফর্ম করে যেন পিছিয়ে পড়া মিয়ামিকে টেনে তুলতে পারেন, সেজন্যই চারজনকে বিশ্রামে পাঠান মাচেরানো।

মাচেরানো বলেন, লিও (মেসি) ভালো আছে। ভ্যাঙ্কুভারে দীর্ঘ ভ্রমণ ও সিনথেটিক ঘাসের মাঠে খেলার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাকে বিশ্রাম দেওয়ার। তবে সে আজ অনুশীলন করেছে এবং সে প্রস্তুত।

ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে খেলা একমাত্র খেলোয়াড় ম্যাক্সি ফ্যালকনকেই এই ম্যাচে প্রথম একাদশে রেখেছিল মায়ামি। গোলরক্ষক পজিশনেও পরিবর্তন আসে, অস্কার উস্তারির বদলে দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুমে শুরু করেন ড্রেক ক্যালেন্ডার।

এফসি ডালাস তাদের আগের দুই ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেনি। তবে এদিন শুরুর ৮ মিনিটেই শাক মুর গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর মিয়ামির ফাফা পিকল্ট ১৬ মিনিটে রিবাউন্ড থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।

ইকুয়েডরের ১৮ বছর বয়সী অ্যালেন ওবান্দো ২৯ মিনিটে এমএলএস ক্যারিয়ারে প্রথম গোল করে মিয়ামিকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। ৫৬ মিনিটে হেক্টর মার্টিনেজ বাঁ পায়ে দুর্দান্ত শটে ব্যবধান ৩-১ করেন।

কিন্তু ৬৪ মিনিটে ওসাজে উরহোগাইডের গোলে ডালাস ব্যবধান কমায় এবং ৬৯ মিনিটে মার্টিন্সের লম্বা পাস থেকে আন্দারসন জুলিও গোল করে ম্যাচে ৩-৩ সমতা ফেরান। ৮১ মিনিটে মিয়ামির দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন পেদ্রিনহো। এ গোলটিই ডালাসকে এনে দেয় অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের জয়।